২৩ অক্টোবর ২০২৫

নাফ নদী সাঁতরে এলো বাচ্চা হাতি—এখনো যায়নি বনে ফেরানো

নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে আসা বাচ্চা বন্য হাতিটি এখনো বনে ফেরানো যায়নি। সোমবার দুপুর হতে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করেও হাতিটিকে বনে ফেরাতে পারেনি বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এসময় হাতিটির আক্রমণে একজন স্থানীয় লোক আহত হয়েছেন।

আহত মুহাম্মদ নূর (৩৪) টেকনাফ নাইট্যংপাড়ার আবুল হাসিমের ছেলে।

জানা গেছে, সোমবার (৩ জুলাই) সকালের দিকে ৮ মাস বয়সি প্রায় সাত ফুট উচ্চতার একটি বন্য বাচ্চা হাতি মিয়ানমার থেকে নাফ নদী সাতঁরে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ঝাউবাগানে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে হাতিটি দেখতে এলাকায় লোকজনের ভিড় লাগে।

পরবর্তী ঘটনাটি বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটিকে বনে ফেরানোর চেষ্টা চালায়। ৪০ ঘন্টা পার হলেও বন্য বাচ্চা হাতিটি বনে ফেরানো সম্ভব হয়নি। হাতিটি শাহপরীরদ্বীপ ঘোলারচরে অবস্থান করছে। হাতিটিকে বনে ফেরানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হাতির আক্রমনে মো. নূর নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে।

টেকনাফের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম জানান, মিয়ানমার থেকে আসা বাচ্চা বন্য হাতিটি এখনো শাহপরীরদ্বীপ ঘোলারচরে রয়েছে। হাতিটি আসার পর থেকে বনে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। হাতিটিকে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে পার্কে অথবা বনে
নিয়ে যাওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও-দক্ষিণ) সরওয়ার আলম জানিয়েলেন, সোমবার সকালে মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকা থেকে নাফ নদীতে পানি খেতে এসেছিল হাতিরপাল। এ সময় হয়তো লোকজনের তাড়া খেয়ে বাচ্চা হাতিটি নাফ নদীতে নেমে পড়ে। এরপর সাঁতরে হাতিটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। হাতিটির বয়স আট মাস হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম আরো জানান, সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে মঙ্গলবার বিকেলে জানতে পেরেছি বাচ্চা হাতিটি এখনো শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ঝাউবাগানে অবস্থান করছে। এটিকে বনে ফেরাতে বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের লোকজন কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকটি হাতি নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে শাহপরীর দ্বীপ ও জালিয়াপাড়া এলাকায় উঠেছিল।স্থানীয়রা বলেছেন মিয়ানমার হতেও এ হাতিগুলো নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের পাড়ে উঠে আসে। যার সর্বশেষ এলো এ বাচ্চা হাতিটি।

আরও পড়ুন