বাংলাধারা ডেস্ক »
নারী উদ্যোক্তারাদের সুখবর দিল ব্রিটিশ বহুজাতিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি হোল্ডিংস। তাদের জন্য বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্যে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ তহবিল ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ১২ মাসে এসব ঋণ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে এক বিবৃতিতে।
ওই বিবৃতিতে এইচএসবিসি বিজসেন ব্যাংকিংয়ের বিপণন কৌশল বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান স্যাম কুপার-গ্রে বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তহবিল প্রাপ্তির পরিমাণ পুরুষ
নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম। মহামারিসৃষ্ট সাম্প্রতিক প্রভাবগুলোয় দেখা যায়, নারী উদ্যোক্তা ও পুরুষ নিয়ন্ত্রিত একই ধরনের প্রতিষ্ঠান অসামঞ্জন্যপূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে। এর দ্বারা আমরা বুঝতে পারি, আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অনেকটা কঠিন অবস্থার সম্মুখিন হতে হয় এসব প্রতিষ্ঠানকে।
এ ধরনের উদ্যোগের তুলনায় এ তহবিল দ্বারা আরো বেশি পরিমাণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে এইচএসবিসির। এক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব বাজারকে প্রাধান্য দেয়া হবে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে নেটওয়েস্ট গ্রুপ ব্রিটেনে নারী উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার জন্য ১০০ কোটি পাউন্ড (১২০ কোটি ডলার) বরাদ্দ দেয়। কভিড-১৯ মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর আগে ২০২০ সালে আরো ১০০ পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছিল ব্যাংকটি, পরবর্তী সময়ে এটির সঙ্গে ২০২১ সালের বরাদ্দ সমন্বয় করা হয়।
এইচএসবিসি জানায়, বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে কঠিন প্রতিবন্ধকতা হলো পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করা। ২০১৯ সালে নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়িক স্টার্ট-আপগুলো মাত্র ৩ শতাংশ তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের নারী উদ্যোক্তা তহবিলটি নতুন ও বর্তমান সব ধরনের গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত। ১১টি দেশে এইচএসবিসির গ্রাহকরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এর মধ্যে অর্ধেক গ্রাহকই এশিয়া অঞ্চলে। এ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এশিয়ায় এইচএসবিসির উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক বাজার হলো হংকং, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া, অন্যান্য বাজারের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও উরুগুয়ে।













