বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সকাল থেকেই বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট, বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য লালদিয়া চর এলাকায় পরিদর্শন এবং টহল দিচ্ছে। তবে উচ্ছেদ অভিযান আপাতত বন্ধ রেখে চরবাসীকে নিজেদের মালামাল ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছে বন্দর।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালদিয়া চরবাসীরা স্থাপনা ও মালামাল নিজ উদ্যোগেই সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে ভাঙাবাড়ি ও আসবাবপত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন নামমাত্র মূল্যে। কেউ কেউ আবার মালামাল নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায়ের মতো বসে আছেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে বাসিন্দারা চলে যেতে থাকায় মূল সড়কের পাশের এলাকায় বাঁশ পুঁতে বেড়া তৈরির কাজ শুরু করেন বন্দরের কয়েকশ শ্রমিক।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহাজান সাংবাদিকদের জানান, উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা অনুযায়ী ৫২ একর জায়গায় উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখন লালদিয়ায় বসবাসকারীদের একটু সময় দিয়েছে বন্দর। মালামাল সরানো শেষে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে। তবে ইতোমধ্যে তার কাঁটার বেড়া দেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে তিনি জানান, মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবরস্থান এলাকা উচ্ছেদের আওতার বাইরে রাখা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই













