অনিন্দ্য টিটো »
বটবৃক্ষ-ই ছিলেন তিনি
ছিলেন, উড়ে আসা পাখিদের
ক্লান্ত পথিকের শান্তির শীতল বিশ্রামাগার
ছিলেন জ্ঞানের বাতিঘর, আলোর আধার।
বটবৃক্ষটি, ক্রমশই ছড়িয়ে দিলেন ডালপালা
দেশ থেকে দেশে
গ্রাম থেকে শহরে
নিরবে নিভৃতে;
রানারের মতো ছুটেছেন
মানবিক জ্ঞানের লণ্ঠন হাতে।
নেই আর শীতল মায়ার গুণ্ঠন
নিভে গেছে মানবিক জ্ঞানের লণ্ঠন!
দিকভ্রান্ত মানুষেরা কাঁদছে দিকে দিকে
কাঁদছে ছায়াহীন পাখি আর ক্লান্ত পথিকেরা।
কাঁদছে এপাড়-ওপাড় বাংলার জোড়া জোড়া চোখ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আঁকা পদরেখা;
লক্ষ-হাজার মুখের নগর সভা।
অঝোরে কাঁদছে উনসত্তর থেকে একাত্তর
প্রগতিশীল আন্দোলনের রাজপথ;
বায়ান্নের প্রথম পুস্তিকা ‘রাষ্ট্রভাষা কী ও কেন?’
কাঁদছে সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের
ঢিলেঢালা পাজামা-পাঞ্জাবি, কালো চশমা!
(মে ১৪, ২০২০)













