জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার ১০টি এবং পেকুয়ার ৬ ইউপিতে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে চলছে উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এখানকার দুটি কেন্দ্রসহ চকরিয়া-পেকুয়ার ১৬ ইউপির প্রায় দেড়শ কেন্দ্রের বেশ কয়েকটিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকা করা হলেও সবখানেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সকাল ৮টা হতে শুরু হয়ে চলছে ভোট গ্রহণ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাহারায় রয়েছে পুলিশ-আনসার বাহিনী। টহল জোরদার করেছে র্যাব ও বিজিবি। সাথে রয়েছেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদত হোসাইন বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলায় মাঠে রয়েছেন অর্ধ শতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একাধিক প্লাটুন বিজিবি আর ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য। এছাড়াও টহলে রয়েছে র্যাব-১৫ এর একাধিক মোবাইল টীম। শনিবার স্ব-স্ব ইউনিয়ন গুলোতে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারগণ কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের মালামাল নিয়ে পৌছান।
সূত্র মতে, চকরিয়ার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭৩, সংরক্ষিত মেম্বার পদে ১৩৩ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ মনোনীত ১০ প্রার্থী হলেও বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৬০ জন। প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। বহিস্কারের পরও নির্বাচনী মাঠ থেকে সরেনি তারা।
একইভাবে, পেকুয়ার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৮৫ জন এবং মহিলা সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। পেকুয়ার ৬ ইউপির ৫৪ কেন্দ্রে বুথ ২৮৫টি।

র্যাব ১৫ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে মাঠে রয়েছি আমরা। সাথে টহলে রয়েছে বিজিবিসহ অন্য শৃঙ্খলা বাহিনীও। যেকোন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা কঠোর ভাবে প্রতিহত করার নির্দেশনা দেয়া আছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কেউ বেআইনি ভাবে জোর খাটিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠিন হতে নির্দেশনা দেয়া আছে।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













