৯ নভেম্বর ২০২৫

নেই রপ্তানি আদেশ, বেতন বকেয়া রেখেই কারখানায় তালা

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করেন ‘দীপস অ্যাপারেলস’ নামে একটি পোশাক কারখানায়। স্বামী না থাকায় দুই সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধ চালাচ্ছেন একাই। সর্বসাকুল্যে মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা হলেও গত পাঁচ মাস ধরে বেতন না পেয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসার সামলাতে।

ফাতেমা বেগমের মতো ওই কারখানাটিতে রয়েছে অন্তত আরও ৬’শ শ্রমিক। ৫ মাস ধরে বেতন বকেয়া রেখে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় এবার আন্দোলনে নেমেছে ওই কারখানায় কর্মরত সব শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে মেরিনার্স সড়ক এবং নতুন চাক্তাই সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবরোধের ফলে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। যার ফলে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ দুর্ভোগে পড়েছে। সকাল থেকেই দুই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় কর্মজীবী মানুষদেরও কর্মস্থলে যেতে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হচ্ছে।

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ফাতেমা বেগম বলেন, ‘গত ৫ মাস ধরে আমাদের বেতন দিচ্ছেনা। বেতন পাওয়ার আশ্বাস নিয়ে এতদিন কাজ করেছি। ভেবেছি সামনে পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু আজ সকালে কারখানায় এসে দেখি গেইট বন্ধ, কারখানাও বন্ধ।’

‘কোনরকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই বকেয়া বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আমরা পথে বসেছি, আন্দোলন করতে হচ্ছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব? আমার দুই ছেলের পড়ালেখার খরচ, এলাকায় দোকানগুলোর বাকি টাকা- সবমিলিয়ে আমি চিন্তিত। বাকি টাকাগুলোও বা পরিশোধ করব কিভাবে?’- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তবে সমস্যাটি সমাধান করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের এএসপি মো. সেলিম নেওয়াজ। তিনি বলেন, দীপস অ্যাপারেলস নামের কারখানাটিতে বর্তমানে কোনো অর্ডার নেই বলে জানালেন কারখানা মালিক পক্ষের লোকজন। যে কারণে তারা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিল্প পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আছে। আমরাও সমস্যাটি সমাধানের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’

বাংলাধারা /আরএইচআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ