২৫ অক্টোবর ২০২৫

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকরসহ ২১ দফা দাবি বিএফইউজের

১ নভেম্বর সারাদেশে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে ২১ দফা দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, সাংবাদিকদের সপ্তাহে দুইদিন ছুটি নিশ্চিত করা, সাংবাদিক হত্যার বিচার ও গণমাধ্যমবিরোধী সব কালাকানুন বাতিলের দাবি উল্লেখযোগ্য।

শনিবার সকালে কক্সবাজারে বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় এই দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, পরিচালনা করেন মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি একে এম মহসিন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, এহতেশামুল হক শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মো. আবু বকর, প্রচার সম্পাদক শাজাহান সাজু, নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, অপর্না রায়, মো. আবু হানিফসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানানো হয়।

সভায় আরও বলা হয়, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি কার্যকর হলেও সাংবাদিকরা এখনো সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। নিরবচ্ছিন্ন কাজের ফলে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ছে।

বিএফইউজে নেতারা সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য একটি সমন্বিত জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০টি পৃথক আইন ও নীতিমালা থাকলেও একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত গণমাধ্যম নীতিমালা গৃহীত হয়নি বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।

সভায় বলা হয়, সংবাদপত্রের ওপর ২৭.৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স আরোপ গণমাধ্যম শিল্পকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে। তৈরি পোশাক শিল্পে এই হার ১৫ শতাংশ হলেও গণমাধ্যমে তা প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সভায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও নীতি-নির্ধারণে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ১ নভেম্বর সারাদেশে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সব স্তরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন