দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অপরাধে রাঙামাটির কাউখালী থেকে ৩ উপজাতি অপহরণের শিকার হন। অপহরণের দুদিন পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ছেড়ে দিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।
গত ৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংসদ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর অস্ত্রধারীরা কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বড় আমছড়ি এলাকা থেকে এ ৩ জনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।
অপহৃতরা হলো- কলমপতি ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের চাখিয়াই মং মারমা (২২), বাদো মারমা (৩০) ও চিংথোয়াই প্রু মারমা (২৫)। অপহৃতরা সকলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সম্প্রীতির কাউখালীতে এই অপহরণ ঘটনা নিয়ে উপজেলা ও জেলাসহ সর্বত্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আকস্মিক অপহরণ ঘটনা হতবিহ্বল করে সবাইকে। উপজাতি তিনজন গ্রামবাসী অপহরণের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় ছিল।
রাঙামাটি সদর সেনাজোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,অপহরণের পরপরই উদ্ধার তৎপরতায় নামে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন ও কাউখালী সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা। অপহৃতদের উদ্ধারে বিশেষ তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করে।
রাঙামাটি সদর জোনের সেনাতৎপরতায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তিন অপহৃতদের বুধবার ভোররাতে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সকালে তাদেরকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কাউখালী থানার ওসি রাজীব চন্দ্র কর প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নানামুখি তৎপরতার মধ্যে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই কাউখালী থানায় কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতায় অপহৃতদের উদ্ধারের খবরে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই খবরে সকলে সেনাবাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছে।













