কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়া নগর এলাকা দিয়ে পাচারকালে ৬৯টি ড্রাম ভর্তি দুই হাজার ৯০০ লিটার অকটেন জব্দ করা হয়েছে। এসময় সমুদ্র চ্যানেল দিয়ে অবৈধভাবে জ্বালানি অকটেন অন্যদেশে পাচারকারী ও সহযোগীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫’র সদস্যরা। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এসব জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলে- কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালংয়ের সোনার পাড়ার মৃত আবদু সালামের ছেলে মো. আয়াছ ওরফে রিয়াজ (২২), উত্তর সোনারপাড়ার আবদুল্লাহের ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (২০) একই এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. আলী আকবর (৩৮), পশ্চিম সোনার পাড়ার আহম্মদ কবিরের ছেলে মোঃ সোহেল (১৯), মো. হাসেমের ছেলে মো. এহাছান উল্লাহ ওরফে রহমত উল্লাহ (২৩) ও রামুর খুনিয়াপালং হিমছড়ির আবদুল করিমের ছেলে মোঃ দেলোয়ার (২৪)।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, কক্সবাজােরর সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে চোরাকারবারী চক্র জ্বালানি অকটেন পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে এমন তথ্য পায় র্যাব-১৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫’র একটি চৌকস দল উক্ত চোরাকারবারি ও পাচারকারী চক্রের সদস্য ও পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে আভিযানিক দল কক্সবাজার সদরের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝিলংজা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ডস্থ দরিয়া নগর ব্রিজের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে। বিশেষ অভিযানকালে টেকনাফ অভিমুখী দুইটি নীল রংয়ের পিকআপ এ থাকা কতিপয় ব্যক্তি র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়ী থেকে নেমে তড়িৎ গতিতে পলায়নের চেষ্টা করে। এসময় ৬ জনকে আটক করা হয়। পিছনে থাকা পিকআপের চালকসহ ২ জন দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে- পিকআপে ড্রাম ভর্তি অকটেন রয়েছে, যা উখিয়া থানাধীন একটি পেট্রোল পাম্প থেকে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশী দামে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।
উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ২টি পিকআপ (রেজি: নং-চট্ট-মেট্রো-ন-১১-৮২৬৭ এবং অপরটি রেজিস্টেশন বিহীন পিকআপ) জব্দ করে ৬৯টি ড্রামে সর্বমোট দুই হাজার ৯০০ লিটার অকটেন জব্দ করা হয়। তাদের সাথে থাকা গদ ১৮ হাজড় ১০০ (আঠার হাজার একশত টাকা) এবং ৩টি স্মার্ট ও ২টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তারা আরও জানা যায়, আটককৃতরা পরস্পরের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানি অকটেন ক্রয় করে অধিক মূল্যে অবৈধভাবে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশী দামে পাচার করে আসছিল। আজই তারা ধরা পড়েছে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।













