২৩ অক্টোবর ২০২৫

৩১ ওয়ার্ডে নতুন কমিটি ঘিরে দলের ভেতরেই তীব্র বিভক্তি

‘পকেট কমিটি’ অভিযোগে মহানগর বিএনপিতে কলহ!

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদ্যঘোষিত ওয়ার্ড কমিটি ঘিরে দলে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ আর বিভাজন। পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, কমিটিতে ত্যাগী ও দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ‘পছন্দের লোক’ এবং ‘হাইব্রিড’দের জায়গা দেওয়া হয়েছে। ক্ষোভ এতটাই গভীর যে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে এরইমধ্যে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলের একাংশ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর ভেঙে দেওয়া হয় মহানগরের ১৫টি থানা ও ৪৩টি ওয়ার্ড কমিটি। এরপর চলতি বছরের ৩ জুন মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ্ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রাথমিকভাবে ৩৫টি ওয়ার্ডে ৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। তখন থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় অসন্তোষের সুর।

‘পকেট কমিটি’ অভিযোগ ,পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় বাড়ে উত্তেজনা

তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নতুন কমিটিগুলো মূলত ‘পকেট কমিটি’ যেখানে দুঃসময়ের পরীক্ষিত, আন্দোলনরত নেতাদের বাদ দিয়ে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুবিধাবাদীদের। অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে পাচলাইশ ৩ নম্বর, দেওয়ানবাজার, চকবাজার, বাকলিয়া, খুলশীসহ বেশ কিছু ওয়ার্ডে রাজপথে প্রতিবাদ করেছেন পদবঞ্চিত নেতারা।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (২৫ জুন) ৩১টি ওয়ার্ডে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় নেতিবাচক মন্তব্য। কেউ বলছেন ‘হাইব্রিডদের আশ্রয়স্থল’ তৈরি হয়েছে, আবার কেউ বলছেন দলের আদর্শবানদের প্রতি এটি ‘অবিচার’।

তবে মহানগর কমিটির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান এ বিষয়ে বলেন,“প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় ২০০ নেতাকর্মী থাকলেও, আমাদের কমিটিতে স্থান পেয়েছে ৩১ জন। স্বাভাবিকভাবেই কিছু হতাশা তৈরি হয়েছে। তবে আমি আহ্বান জানাবো, সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের জন্য কাজ করুন, হতাশ হবেন না।”

পদবঞ্চিতরা থামছেন না। অনেকেই বলছেন,“দলের কঠিন সময়ে রাজপথে যারা ছিল, তাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যদি ত্যাগীদের মূল্যায়ন না হয়, তাহলে মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেবে।” তারা দলের হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করে পুনরায় কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন