পঞ্চগড় প্রতিনিধি »
পঞ্চগড়ের লোকাল পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় বেকার হাজার হাজার শ্রমিক-ব্যবসায়ী। অনেক ব্যবসায়ী শ্রমিকের রুটি-রুজি আসে মূলত এই এল সি পাথরের ব্যবসার উপর নির্ভর করেই। অন্যদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্ধ থাকলে সেটিও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিকর।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশ এমনিতেই মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপে আছে ,চাপে আছে পঞ্চগড়ের আপামর জনগণ। পঞ্চগড়ের ঐতিহ্যবাহি পাথর -বালি ব্যবসা যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়; লক্ষ লক্ষ মানুষের উপরে এর অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসবে। সরকার রাজস্ব হারাবে। বাংলাদেশের অন্যান্য স্থলবন্দর চালু হলে আর এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্ধ থাকলে এই বন্দরের ব্যবসা অন্য বন্দরে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে স্বাভাবিকভাবেই ।

শ্রমিক-ব্যবসায়ী সুত্র জানায়, পঞ্চগড়ের পাথর ব্যবসাকে ধ্বংস করার জন্য ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর স্থবির করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ মহল কাজ করছে। কিন্তু সরকার ঘরানার কেউ এমন নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন না বলেও জানায় তারা ।
সুত্র থেকে আরও জানানো হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের করোনার সাথেই বসবাস করে, দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হবে। এখন যারা বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরকে মেরে ফেলতে চাইছেন, তারা নিশ্চয়ই সরকারের মঙ্গল চাইছেন না। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ চাই।

এ প্রসঙ্গে কথা হলে পঞ্চগড় জেলা পাথর বালি খনিজ সম্পদ ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব মোঃ আবু সালেক জানান, বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এমন করা হচ্ছে কিনা, এসব তদন্ত করে দেখা উচিত। সত্যিই যদি এমন হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ,যদি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর চালু করা হয় ;তাহলে ভয়ের তেমন কিছুই নেই। জুজুর ভয় দেখিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরো পঙ্গু করবার চেষ্টায় লিপ্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা উচিত। দেশের অন্যান্য স্থল বন্দর চালু হলে বাংলাবান্ধা চালু করা দরকার বলে তিনি মনে করেন একই সাথে বিষয়টি সবাইকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













