পটিয়া প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের পটিয়া থানা থেকে পালিয়েছে মোছাম্মৎ লাইজু (৩৬) নামে এক ইয়াবা পাচারকারী।
পলাতক লাইজু বরগুনা জেলার ছোট গৌরিচন্না গ্রামের মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পটিয়া থানার অভ্যন্তরে থাকা একটি টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে দাবি করেন থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএসআই সামশুদ্দিন।
থানা থেকে ইয়াবা পাচারকারী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পটিয়া থানার এএসআই শামসুদ্দিন উদ্দিন ভুঁইয়া, কনস্টেবল মো. রিয়াজ ও মহিলা কনস্টেবল মমতাজ বেগমকে ক্লোজড করা হয়েছে।
এর আগে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন এক্সরে করে পেটের ভিতর ইয়াবা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে গোপনাঙ্গনে ও ওষুধ খাইয়ে দিয়ে পেটের ভিতর থাকা ইয়াবা ১৯শ’ পিচ রাতভর বের করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাটির পরনের নীল কালারের জিন্স শার্ট ও সেন্ডেল রেখে যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইয়াবার একটি চালান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়ক হয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছে। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোবারক হোসেন অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকা থেকে লাইজু নামের এক মহিলাকে গ্রেফতার করেন। ওই মহিলার কাছে ‘আমাদের নতুন সময়’ পত্রিকার স্টাফ রির্পোটারের একটি কার্ড পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের পর মহিলার গোপনাঙ্গনের ভিতর থেকে ৪শ পিচ ইয়াবা ও পেটের ভিতর থেকে আরো ১৫শ পিচ ইয়াবা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের করা হয়। হ্যান্ডকাপ ছাড়া মহিলাকে রাখা হয় পটিয়া থানা পুলিশের মুন্সির রুমে। এখান থেকে বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে পেটের ভিতর থেকে ইয়াবাগুলো বের করা হয়।
পুলিশ হেফাজত থেকে ইয়াবা পাচারকারী পলায়নের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের তিনজনকে ক্লোজড করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরোজুল হক টুটুল জানান, ‘ইয়াবা উদ্ধার ও পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় একজন এএসআই, এক নারী ও পুরুষ কনষ্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুইটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামীকে পুনরায় গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, ইয়াবাসহ পুলিশ হেফাজতে থাকা লাইজু নামের ইয়াবা পাচারকারী নারী টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা দাবী করছে অভিযুক্ত দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। এটি কোন অবস্থাতে সম্ভব না। এ ভেনটিলেটর দিয়ে কোন মানুষ পার হতে পারে না। আমি রাত ২ টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। অফিস ত্যাগের আগে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ডেকে এ আসামীর ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছিলাম। তারপরও তারা অবহেলা করেছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













