৩১ অক্টোবর ২০২৫

পটিয়ায় মধ্যরাতেও ছেলাধরা সন্দেহ যুবককে গণপিটুনি

পটিয়া প্রতিনিধি »

এবার পটিয়াতে ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২০ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার ব্যক্তির নাম মাসুদ (৩৮)। তিনি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে। মাসুদ একজন প্রতারক বলে দাবি পুলিশের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই ব্যক্তি ভাটিখাইন আসেন। পরে মহাসড়কের নতুন বাইপাসের সঙ্গে লাগানো নাথপাড়া গ্রামে ঢুকে পরেন। এ সময় ওই গ্রামের প্রদীপ নাথের ছেলে অর্ক নাথ ঘরের বাইরে বের হলে ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায়। এ সময় অর্ক অপরিচিত লোক দেখে আতঙ্কিত হয়ে ঘরে ঢুকে পরে।

পরে তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। লোকজন আসা শুরু করলে লোকটি গ্রামের নির্জন অন্ধকারের একটি একটি টয়লেট ঢুকে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে টয়লেট থেকে বের করে এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে। একপর্যায়ে উপস্থিত লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশের সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মানুষ গণপিটুনি দিয়েছেন। ওই ব্যক্তি মূলত প্রতারক। তিনি গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে কৌশলে স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এলাকায় এসেছিলেন।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চোর কিংবা প্রতারক হবে বলে মনে হচ্ছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন