বাংলাধারা প্রতিবেদন »
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রতিটি অসচ্ছল পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায় নি এস আলম পরিবার। দুই গৃহকর্মীসহ এস আলম পরিবারের পাঁচ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে এস আলম ভবন লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ মে) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ৭০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি ৩ করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করলে ফলাফল আবার পজিটিভ আসে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চটগ্রামের বিআইটিআইডি তে নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ৪ জন, সীতাকুন্ড উপজেলায় ৩ জন, পটিয়া উপজেলায় ৫ জন ও রাংগুনিয়া উপজেলায় ৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের বাইরে ভিন্ন জেলায় ১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় নি। এছাড়া চট্টগ্রামের বাইরে ভিন্ন জেলায় ১২ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। তাছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করলে ফলাফল আবার পজিটিভ আসে। তাছাড়া চট্টগ্রামের বাইরে ভিন্ন জেলায় ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় বিআইটিআইডিতে ২৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৪১ জনের পজেটিভ এসেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের পজিটিভ এসেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়।
সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭১৬ জনে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০০ জন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













