৪ নভেম্বর ২০২৫

পটিয়ায় করোনার নমুনা সংগ্রহকারী দুইজনের পরিবারে করোনা, আক্রান্ত ৪

পটিয়া প্রতিনিধি »   

বিশ্বে যখন করোনার মহামারী, তখন তা মোকাবেলায় করোনা যোদ্ধা হয়ে সবচেয়ে বেশি সাহসী ভূমিকা রাখছেন ডাক্তার ও নার্সরা। তাদের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা রোগী সনাক্তে, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার মূল কাজটা করে থাকেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। সবার আগে করোনা উপসর্গের রোগীদের কাছেও যাচ্ছেন তারা, তাই বেশি ঝুঁকিও তাদেরই।

এবার সেই ঝুঁকি বাস্তবে পরিণত হয়েছে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) এর দুই জনের পরিবারের শিশু সহ ৪ জন সদস্যসের আজ করোনা সনাক্ত হওয়ায় জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় বহিরাগত সর্বসাধারণের প্রবেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ কর্তৃক গঠিত করোনা র‌্যাপিড রেসপন্স টিম রোগীদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহ করে আসছিল হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ইতোপূর্বে অসংখ্য রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের করোনায় আক্রান্ত হন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪মে) তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তাৎক্ষনিক করোনা আক্রান্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের পরিবারের সনাক্ত হওয়া সদস্যদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসলোশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে।

র‌্যাপিড টিমের অন্যান্য সদস্যরা গত ৯ মে টেকনোলজিস্টেরা সহ তাদের সবার পরিবারের সদস্যদের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদার হাট করোনা সেন্টারে মানবিক সেবায় নিয়োজিত থাকায় ইতোমধ্যে তাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

আজ সন্ধ্যায় দুই জন টেকনোলজিস্টের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চার জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে একজনের বাবা, অন্যজনের স্ত্রী ও শিশু সন্তান।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পটিয়া হাসপাতালের একজন টেকনোলজিস্ট এ প্রতিবেদককে কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান তার পরিবারের স্ত্রী ও শিশু সন্তানের করোনা পজিটিভ আসছে।

হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্তের পরপরই জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে বহিঃবিভাগ ও ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও আতঙ্কে রোগীরা আসতে চাইছেন না। হাসপাতাল এলাকায় বহিরাগত সর্বসাধারণের প্রবেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাবেদ জানান, মানবিক দিক বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা মেডিকেলের যে আবাসিক ভবনে থাকে সে ভবনটি লকডাউন করা হবে এবং সেখানেই তাদেরকে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য পটিয়ায় আজ পর্যন্ত করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে ২৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের এবং সুস্হ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন