১০ ডিসেম্বর ২০২৫

পটিয়া এখন করোনার ডেঞ্জার জোন

কাউছার আলম, পটিয়া »

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫ জন। এর মধ্যে গত ৩দিনে নতুন করে শনাক্ত হয় ২১ জন। চট্রগ্রাম জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে আক্রান্তের দিক থেকে এ উপজেলা সর্বোচ্চ।

এদিকে এখনো পর্যন্ত কেন পটিয়াকে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে না তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। পটিয়ার সচেতন জনসাধারণ মনে করছেন, যতদ্রুত উপজেলাকে লকডাউনের আওতায় এনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে পটিয়াকে করোনার সংক্রমণের হাত হতে বাঁচা সম্ভব হবে। আর না হয় এভাবে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলবে। পরবর্তীতে যত পাবলিক ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে আরো ভয়াবহ আকারে রুপ ধারন করবে।

উপজেলায় লকডাউন না থাকার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকিদিয়ে অনেক অসাধু ব্যাবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের লোকজন আসছে ঈদের কেনাকাটা করতে। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি। সামাজিক দুরত্ব না মানার প্রবণতা বেড়েছে সবার মাঝে এতেই পাবলিক ট্রান্সমিশন ঘটছে আর প্রতিদিন কোন না কোন ভাবেই করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে।

অন্যদিকে, ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-পুরুষ। ফলে করোনার কোনো উপসর্গ ছাড়াই নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। গতকাল সোমবার (১৮ মে) নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মো. জাবেদ।

উপজেলায় নতুন রোগীরা লক্ষণ ছাড়াই আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া করোনার উপসর্গ লুকিয়ে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ কারণে পটিয়ার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪৫জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত মাসের ১২ এপ্রিল ৬ বছরের এক শিশুর শরীরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ঐ দিন রাতে জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন আগে পটিয়ায় একটি পরিবারের একজনের সংস্পর্শে আসা ঐ পরিবারের শিশু সহ ৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই সংখ্যাটা হু হু করে বাড়তে থাকে। বাদ যায়নি পটিয়া হাসপাতালের করোনার নমুনা সংগ্রহকারীর পরিবারের লোকজনও। দুইজন নমুনা সংগ্রহকারীর পরিবারের স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা ও অবুঝ দুই শিশুর শরীরে ও করোনা ভাইরাসের উপস্থিত পাওয়া গেছে। এছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৩ জন। তবে এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ২ জন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন