৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পদ্ধতি ও গুণগত পরিবর্তনে কার্যক্রম সফল হবে- মেয়র

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীতে মশক নিধন একটি প্রধান সেবা মূলক কার্যক্রম। এতদিন যে-পদ্ধতিতে ও ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো। তাতে নানা ধরণের ক্রটি ও অসঙ্গতি ছিলো। ব্যবহৃত ওষুধও অকার্যকর ছিলো।

এই প্রেক্ষিতে চবি কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে নগরীতে মশক নিধনে মাসব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হলো। এর আওতায় প্রতিদিন ৪টি করে ওয়ার্ডে কাজ শেষ হবে। পরদিন আর ৪টি ওয়ার্ডে কাজ চলবে। এ ভাবে ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ দিন করে মোট ৩ দফায় মাসব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। পদ্ধতিগত ও গূণগত পরিবর্তনে এই কার্যক্রম সফল হবে।

বুধাবার (৪ আগস্ট) শুলকবহর ওয়ার্ডে বিপ্লব উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী।

মেয়র বলেন, মাশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরী হয়। নালা-নদর্মায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এই দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জমাট পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা ছড়ায়। তাই নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় যেখানে জমাট পানি আছে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রয়াই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং এখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মানাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন