১০ নভেম্বর ২০২৫

পরিচয় মিললো সেই পাগলির, যেতে চান না বাড়িতে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি »

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শেখপাড়া পৌরসভরার ডাস্টবিন থেকে গত ৩ আগস্ট গর্ভবতী এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে উদ্ধার করে ঢাকার মিল্টন সাদ্দাম নামক একটি অসহায়দের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠায় সীতাকুণ্ডের মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গরীবের বন্ধু যুব ফাউন্ডেশন’র কর্মীরা। সেখানে তাকে বেশ পরিচর্যা করে রাখলে ওই নারী ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। অবশেষে পরিচয় মিলল সেই পাগলির।

মানসিক ভারসাম্যহীন ওই পাগলির নাম সাহিদা আক্তার। তারা চার বোন এক ভাই। তার বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার জাউজপাড়ার গর্জনিয়া এলাকায়। গত আট বছর আগে পরিবার থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। স্বজনরা অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি।

কয়েক মাস আগে সীতাকুণ্ড ডাস্টবিনে ওই গর্ভবতীকে অনাবৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ডের মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গরীবের বন্ধু যুব ফাউন্ডেশন’র কর্মীরা। তখন পাগলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পোষাক পরিয়ে টিএইচও ডাক্তার নুর উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে। সেখানেই তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

পরে এই ঘটনা জানাজানির পর গণমাধ্যমে মা হলেন পাগলি, বাবা হলো না কেউ শিরোনামে নিউজ হয়। এর ফলে বিষয়টি নজরে পড়ে তার স্বজনদের। হারানোর দীর্ঘ ৮ বছর পর তার সন্ধান মিলেছে, ছুটে আসলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু স্বজনরা নিয়ে যেতে চাইলেও পরিবারে ফিরতে চান না পাগলি।

ভারসাম্যহীন সাহেদা বেশি কথা বলতে না পারলেও বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা শুনলে তিনি বাড়ি যাবে না বলে জানিয়ে দেয়।

‘গরীবের বন্ধু যুব ফাউন্ডেশন’র কর্মী আবু তাহের এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‌‘সাহেদা ও তার সন্তান সুস্হ আছেন। সন্তানটি অনেকেই দত্তক নিতে চেয়েছিল। সাহেদা সন্তান দিতে চায় না। তাছাড়া আশ্রয়ানের তত্ত্বাবদায়ক সাদ্দামও চায় না এই মূহুর্তে তার কাছ থেকে সন্তানকে দূরে সরাতে। এতে তার মস্তৃষ্কে আবারও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তার শেষ ঠিকানা কোথায় হবে এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না, আমরা চাই সাহেদা বেচেঁ থাকুক, সুস্হ থাকুক।’

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ