কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে নৌকা ডুবে নিহত মা-মেয়ের পরিচয় মিলেছে। তারা উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-১১ এর ব্লক-সি-১৫ এর বাসিন্দা জানে আলমের স্ত্রী সমজিদা বেগম, মেয়ে নুর শহিদা এবং রশিদা। বালুকালীর ক্যাম্প-১১ ইনচার্জ (সহকারী সচিব) আরাফাতুল আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১২ জুন) দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার ২নং ওয়ার্ড নাফনদী সীমান্ত এলাকায় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জানে আলম ও অপর এক সন্তান নিখোঁজ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মুঠোফোনে সিআইসি আরাফাতুল আলম জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র বরাত দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১১ (বালুখালী)’র বাসিন্দা জানে আলমের পরিবার শুক্রবার রাতে সবার অগোচরে নৌকা যোগে মিয়ানমার চলে যাচ্ছিলেন। নদী পার হতে গিয়ে কোন কারণে নৌকা ডুবিতে স্ত্রী-সন্তান মারা গেছে। তার পরিবারের ৫ সদস্যের মাঝে তিনজনের মরদেহ শনিবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার ২নং ওয়ার্ড নাফনদী সীমান্ত এলাকায় থেকে উদ্ধার করা গেলেও অপর দুজন এখনো নিখোঁজ। মো. জানে আলমের বাবার নাম মো. রশিদ। তিনি ক্যাম্প-১১ এর ব্লক-সি-১৫ বাসিন্দা এবং এফসি নং-১৯৯২৬৩।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, নাফ নদী থেকে দুই শিশুসহ এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা কি মিয়ানমারে যাচ্ছিল, নাকি সেদেশ থেকে আসছিল বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। নৌকাতে কতজন রোহিঙ্গা ছিল সেটি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি একটি দালাল চক্রের হাত ধরে নৌকা নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পারাপার করে আসছে রোহিঙ্গারা। সে সুবাধে এখান থেকে জানে আলম নামে এক ব্যক্তি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে মিয়ানমারে স্বজনদের কাছে যাচ্ছিল। এসময় ঝড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তিনজন প্রাণ হারায়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, নাফ নদীর তীরে ভেসে আসা তিন রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেছে। মিয়ানমারে যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। সেই নৌকাতে আরো রোহিঙ্গা থাকার খবর রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, নাফনদীতে ভেসে আসা দুই শিশুসহ তিন রোহিঙ্গার মরদেহ পাওয়া গেছে। কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













