২৪ অক্টোবর ২০২৫

পরিবহন কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

কালুরঘাটে টেম্পুচাপায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রীর বাকঁখালী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় নুরুল ইসলাম নাহিদ (৪০) নামে এক বাস কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, বৈদ্যুতিক শক ও পাশবিক নির্যাতনে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে শাহ আমানত ব্রিজ এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার তার মৃত্যু হয়।

নিহত নুরুল ইসলাম নাহিদ চান্দগাঁও থানার শামসুর কলোনি চেয়ারম্যান এলাকার মৃত আকবর আহমেদের পুত্র। তিনি বেসরকারি পরিবহন সংস্থা হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন।

চমেক হাসপাতালে নেয়া সিএনজি চালক আরিফ বলেন, ‘শাহ আমানত ব্রিজ এলাকার কর্ণফুলী নদীর পাশে দুই যুবক আমার সিএনজি থামিয়ে বলেন— একজন অসুস্থ রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আমি স্বীকৃতি জানালে তারা নৌকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় এক ব্যক্তিকে আমার গাড়িতে তোলে। ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।’

আরিফের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বহদ্দারহাটের দিকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ আসার পর এক নারী ও তার ৮ বছরের মেয়ে সিএনজিতে ওঠে। পরে চান্দগাঁও এলাকায় এসে ওই দুই যুবক সিএনজি থেকে নেমে যায়। পরে ওই মহিলা তার মেয়েসহ অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘সকালে নাহিদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাহিদের পরিবার জানিয়েছে, সে হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত নুরুল ইসলামকে বৈদ্যুতিক শক ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে।’

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রহিম সিএনজি চালকের বরাত দিয়ে বাংলাধারাকে বলেন, ‘সকালে কর্ণফুলী নদীর এক মাঝি ও এক অজ্ঞাত যুবক নৌকা থেকে তাকে সিএনজিতে তোলে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নৌকার মাঝি ভিকটিমের পূর্বপরিচিত। আর অপর যুবক বাসের সহযোগী হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবারকে আমরা নিয়ে এসেছি। আসলে ভিকটিম কোথায় খুন হয়েছে সে ঘটনাস্থল সম্পর্কে এখনও আমরা পুরোপুরি অবগত নই। সবকিছু সম্পর্কে অবগত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন