১২ নভেম্বর ২০২৫

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত বান্দরবান

আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান »

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈম মানে খুশি। সেই ঈদের ভ্রমণ পিপাসুরাও হাতছানি দিয়ে অপেক্ষায় থাকেন পর্যটন নগরী পাহাড় কন্যা বান্দরবানের পথে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লীলাভূমি ও সবুজের অরণ্যের ভরা পাহাড়ের মেঘের খেলা দেখতে কারই বা আসতে মন না চায়। সুযোগ পেলেই পর্যটকরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটন লীলাভূমিতে। এবার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিলাচল, মেঘলা, প্রান্তি লেক, নীলগিরি, শৈলপ্রপাতেসহ অঅন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকে ভরপুর। ছোট হতে বড় ও কেউ পরিবারসহ নিয়ে ছুটে আসছেন বান্দরবানে। ঈদের আনন্দের মেতে উঠতে পাড়ি জমাচ্ছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননা পর্যটকরা। সকাল থেকে দর্শনার্থী ও পর্যটকের আগমন ঘটতে থাকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। বেলা যত বাড়তে থাকে ততই ভিড় বাড়তে থাকে নিলাচল, মেঘলা, শৈল প্রপাত, প্রান্তি লেক ও চিম্বুকসহ নানা পর্যটনের। পাশাপাশি পাহাড়ের জনপদের জনগোষ্ঠীরাও পর্যটকদের আগমনে স্বাগতম জানান।

বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনের টিকেট কাউন্টারের তথ্যমতে, ঈদে এবার পর্যটকের আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। মেঘলায় পর্যটনের সারাদিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭০০টি, নীলাচলে ১হাজার ৭শ’টি, প্রান্তি লেকের কেন্দ্রে ৪ শ’টি। অন্যদিকে পর্যটকদের যেন কোন আপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রত্যেক পর্যটনের ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সজিব দে অপু বলেন, ঈদের ছুটিতে বান্দরবানে বেড়াতে এসেছেন ১২ জনের সদস্য। তার কাছে বান্দরবান বলতে শুধু পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর।

নারায়নগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা মো. সুমন বলেন, বান্দরবান নামে যেমন শুনতে অদ্ভুদ লাগে, ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক লীলাময় যেন সমারোহ। ৭ জনের টিম নিয়ে দু’দিনের জন্য বেড়াতে এসেছেন বান্দরবানে।

নীলাচলে টিকেট কাউন্টার আদীব বড়ুয়া জানান, এ ঈদে স্বাভাবিকভাবে পর্যটকের সমাগন হয়েছে। এবার নীলাচলে সারাদিনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১হাজার ৫শ’টির মতো। আশা করছেন আজকের চেয়ে আগামিকাল পর্যটকের আরও আগমন ঘটবে।

মেঘলা টিকিট কাউন্টার সুকুমার তংচঙ্গ্যা জানিয়েছেন, সারাদিনের পর্যটকের আগমনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭শ’টি। গতবারের চেয়ে এবার পর্যটকের কম আগমন হয়েছে।

অন্যদিকে, পর্যটকদের জন্য চান্দের গাড়ি যেন মুহুর্ত থেমে নাই এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। পর্যটকদের আনন্দে ভাসিয়ে দিতে মেঘলা থেকে নীলাচল কিংবা নীলাচল থেকে চিম্বুকের দিকে ছোটাছুটি। চান্দের গাড়িটি খোলামেলা হওয়াতেই পর্যটকরা দাঁড়িয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন। আবার কেউ সপরিবার নিয়ে কেউ বা বন্ধু- বান্ধব নিয়ে চান্দের গাড়ি করে পাড়ি দিচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

বান্দরবান জীপ ও মাইক্রোবাস সমিতির টিকেট কাউন্টার মো. কামাল জানান, আজ সারাদিনের পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে চান্দের গাড়ি ছেড়েছেন প্রায় ৬০টি। পর্যটকদের জন্য সেবা দিতে যথেষ্ট পরিমাণ চান্দের গাড়ি মজুত রয়েছে। তবে আগামিকাল আরো বেশি করে ছাড়ার আশা করছেন সমিতি সংশ্লিষ্টদের।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার ঈদের পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেক পর্যটনের সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন রয়েছে। যাতে কোন আপত্তিকর দুর্ঘটনা না ঘটে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ