চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলসমূহে দীর্ঘ ৫ বছর পর আসন বরাদ্দের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেকোনো সময় বিশেষ পরিদর্শক টিম এবং আইন শৃংখলা বাহিনী হলে তল্লাশি চালিয়ে বরাদ্দ ছাড়া অবৈধভাবে হলে অবস্থানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সিট বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হতে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা সংযুক্ত হল অফিস থেকে আসন বরাদ্দের আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রদান করতে পারবে। আবেদন ফরমের মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও ১৭ জুন তারিখে প্রকাশিত জরুরী বিজ্ঞপ্তি-১, ২ ও ৩ এর আলোকে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই ।
ইতোপূর্বে চবি আবাসিক হলসমূহে অবস্থানের জন্য সাময়িক, বিশেষ ও দ্বৈতাবাসিক অনুমতিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরও নিয়মিত আসন বরাদ্দের জন্য আবেদন করতে হবে।
এই বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট আসন বরাদ্দের পর পূর্বে অনুমতি প্রাপ্ত সাময়িক, বিশেষ ও দ্বৈতাবাসিক বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ফরম উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে জনা দিতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ ব্যাপারে চবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম আজম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি শহর থেকে দূরে হওয়ায় আমরা যারা বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে পড়তে এসেছি তাদের জন্য হলে সিট পাওয়া খুবই প্রয়োজন। কিন্তু বেশির ভাগ হলগুলো বগিভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপের দখলে থাকায় সেখানে বৈধ উপায়ে সিট পাওয়া সম্ভব হয় না। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েক দফায় আসন বরাদ্দের ফর্ম বিতরণ ও জমা নিলেও শেষ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এবার সম্ভব হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সতর্ক করে জানানো হয়, আসন বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আবাসিক হলগুলোতে বিশেষ পরিদর্শন ব্যবস্থা চালু থাকবে। এ ব্যবস্থার আওতায় বিশেষ পরিদর্শক টিম এবং আইন শৃংখলা বাহিনী যে কোন সময় হলে তল্লাশি চালাবে এবং বরাদ্দ ছাড়া অবৈধভাবে হলে অবস্থানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, ৫ বছর আগে ২০১৭ সালে আবাসিক হলে সর্বশেষ আসন বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তিতে ২০১৯ সালে কয়েক দফায় আসন বরাদ্দের ফর্ম বিতরণ ও জমা নিলেও এখন পর্যন্ত আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয়নি প্রশাসন।













