২৮ অক্টোবর ২০২৫

পাওনাদারদের একসঙ্গে না আসার অনুরোধ, রোববার খুলছে ইভ্যালি

বাংলাধারা প্রতিবেদন»

আগামী রোববার থেকে খোলা থাকছে বর্তমান সময়ের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল একসঙ্গে পাওনাদারদের না আসার অনুরোধ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী রোববার (২২ আগস্ট) থেকে খুলছে রাজধানীতে অবস্থিত ইভ্যালি অফিস।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা জানায় মোহাম্মদ রাসেল। এর আগে ইভ্যালির বহু পাওনাদার নির্দিষ্ট সময় মতো পন্য না পাওয়ায় সরব হয় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠানে। পাওনাদারের টাকা অনেক দিন যাবত ইভ্যালির কাছে আঁটকে রয়েছে।

রাত ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন রাসেল। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন, কার্যালয় খুললে ক্রেতারা দলবেঁধে আসবেন, কিছু একটা হবে। অনেকে ওই দিন লাইভ করতে যাচ্ছেন। এভাবে জোর করে যেহেতু বেনিফিট আসতেছে না। আপনারা চেষ্টা করুন, অ্যাপয়েন্টমেন্টের বাইরে না আসার। রোববার থেকে অন্তত ১৫টা দিন আমাদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আসবেন না। গ্রুপ করে আইসেন না। কারণ আপনারা আসবেন পজিটিভ সেন্সে, এইটাকে ক্যাপিটালাইজ করে একটা এক্সিডেন্ট হবে। আপনাদের ছোট্ট কিছু ভুলের জন্য সবগুলো ব্যাপার এলোমেলো হয়ে যাবে। ব্যাড ইনটেনশনের লোক যখন চান্স নিতে আসবে না, তখন আপনারা আইসেন।’

রাসেল আরও বলেন, ‘অনেকে হয়তো ভাবছে, ইভ্যালি এভয়েড করতে চাচ্ছে কি না। আমি নিজেকে হাইড করতে চাই না। অনেকে সন্দেহ পোষণ করেন যে আমরা দেশ ছাড়ি কি না। এই বিষয়টা আমার মাথায় কখনোই আসেনি। ৩০০ কোটি টাকার উপরে একটা গ্যাপ দেখতে পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিষয়টি আমরা অস্বাভাবিকভাবে দেখিনি। কারণ কোনো বিনিয়োগই নিজস্ব বিনিয়োগ থাকে না। কেউ ব্যাংক থেকে নেন, কেউ অন্যদের থেকে নেন। কোম্পানিগুলো সাপ্লায়ারের, ডিলারের আগাম টাকা জমা দেয়া আছে। গ্রামীণফোনেও আগাম টাকা জমা দেয়া আছে। তাই লাইবালিটিটাকে অস্বাভাবিকভাবে দেখিনি।‘

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নীতিমালার কারণে সাময়িক সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়ে ইভ্যালি এমডি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারিনি যে, এভাবে হঠাৎ করে ব্যবসায় পরিবর্তন আসবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা আমাদের ডিসকাউন্টা কমাচ্ছিলাম। বদলানোর প্রক্রিয়টিা ধীরে ধীরে আসছিলো। যখন সিদ্ধান্তটা হঠাৎ হয়ে গেল তখন কিছু সমস্যা হয়ে যায়।‘

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে রাসেল বলেন, ‘যতই চাপ দেন না কেন চেক দেয়ার সুযোগ বিন্দুমাত্র নেই। আমরা আপনাদের পণ্যই দেব। আপনারা যদি বলেন চেক না দিলে আর সময় দেব না, তাহলে আর সময়ও চাইতে পারব না। দিলে পরদিনই মন্ত্রণালয় থেকে বড় ধরনের অ্যাকশন চলে আসবে। এখন প্রায়োরেটি পয়েন্ট যাদের বেশি তাদের ডেলিভারিটা প্রথমে হচ্ছে। তাই এখন আপনারা প্রাইরোটি পয়েন্টে কেনাকাটা বাড়ান।‘

বাংলাধারা/এফএস/এফএস

আরও পড়ুন