বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের ও সিএমপির পক্ষ থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি কোন কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তারা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডর (কেজিডিসিল) চার সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত শেষে কেজিডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাস লাইনের কোনো সমস্যা থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়নি। তাদের দাবি, সেপটিক ট্যাংক থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
তবে বিতরণ কোম্পানির এ দাবির সঙ্গে একমত নয় বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। তাদের মত, গ্যাস লিকেজ থেকেই এ দুর্ঘটনা। পাশাপাশি লিকেজের আলামত পাওয়া দাবিও করছে তারা। তারা বলছে, সেফটিক ট্যাংক বাইরে থাকায় তা থেকে বিস্ফোরণে ঘরের ভেতরে থাকা কারো আহত হওয়ার কথা নয়। আর ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বদ্ধ ঘরে বিস্ফোরণের আগুন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার তথ্য ঠিক নয়। দুর্ঘটনার পর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কটি কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। কোনো নিয়ম না মেনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে ।
এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত নয়জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর একজনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, রোববার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরনে সাতজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৫ জন। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস থেকে বলা হয়েছে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরনের কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













