কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেছেন, দেশের যেকোন দূর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় ছাত্রলীগ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানব সেবায় হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু পান থেকে চুন খসে পড়লেই গণমাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়। ছাত্রলীগ ভুল করে থাকলে সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু ভাল কাজের প্রশংসা করতে সমস্যা কোথায়? কারণ ইতিবাচক কাজের প্রশংসা চলার পথে সাহস আর অনুপ্রেরণা যোগায়।
রবিবার (২১ মার্চ) রামু দূর্গম গর্জনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘মুরাল’ উদ্বোধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা গেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। খুনিরা জানতো না নেতার দৈহিক মৃত্যু হতে পারে, আদর্শের মৃত্যু হতে পারেনা। কারণ বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, একটি বিপ্লব, একটি ইতিহাস, একটি মানচিত্র। এদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে বাঙ্গালির ইতিহাস কল্পনা করা যায় না। মুজিব বর্ষে গর্জনিয়ায় মুরাল স্থাপন তার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। আজ দেশের প্রতিটি পরিবার যেন এক একটি মুজিব আদর্শের পাঠশালা।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আদর্শচ্যুত্ত কোন সংগঠন বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। তাই প্রতিটি নেতাকর্মীকে শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির আদর্শে বলিয়ান হতে হবে। একই সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রায় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান রিয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরি, আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ, সহ সভাপতি সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাজ্জাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী নাজমুল হক, জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমু, সিটি কলেজ সাধারন সম্পাদক রিফাত, তৌহিদ, তাইফ, ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল, ইনজমান, রিদুয়ান, ফরহাদ, রাকিব, আশরাফসহ এলাকার বঙ্গবন্ধু প্রেমি অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













