পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ মুজিবর রহমান বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় উপজাতি ও বাঙ্গালীদেরকে বৈষম্য করা হচ্ছে। সবকিছু ক্ষেত্রে উপজাতীদের বেশী প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বান্দরবানে জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগসহ প্রত্যেক ক্ষেত্রে বাঙ্গালী পিছিয়ে রয়েছে। এর কারণ দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বজনপ্রীতি।
রোববার (৮অক্টোবর) সকালে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এসব মন্তব্যে করেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব বাঙ্গালী বসবাস করে তাদের শতকরা ৯৫ শতাংশ রয়েছে দারিদ্র সীমার নীচে। কিন্তু বান্দরবানের উপজাতিদের একচেটিয়াভাবে চাকুরী ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক উপজাতিদের গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বহু ছাত্রাবাস। অথচ বাঙ্গালীদের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোন কিছুই নাই। বাঙ্গালীদের সংখ্যা হাজার তো দুরের কথা শতের কোটা পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রেও পার হতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী মোহাম্মদ মুজিবর রহমান বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ অধীনে বিভিন্ন বিভাগে রাজস্ব খাতভূক্ত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগে স্বজপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য শুরু হয়। তাই আগামীতে সরকারী ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মচারী নিয়োগে কোন ধরনের বৈষম্য হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের কঠোর আন্দোলনের যাওয়া হুশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ,জেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জেলা নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাহজালাল সহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।












