মুহম্মদ আব্দুল আলী »
চট্টগ্রামে থামছে না পাহাড় কাটা। নানা কৌশলে কাটা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই শতাধিক পাহাড়ের অধিকাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে যে ক’টি অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোতেও নিয়মিত কোপ পড়ছে পাহাড়খেকোদের। তাই থামছে না পাহাড়ের কান্না।
নিয়মিত পাহাড় কাটা হচ্ছে ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোডের দুই পাশে। এছাড়া আরেফিন নগর, জালালাবাদ, নাসিরাবাদ, দক্ষিণ খুলশী, জিইসি মোড়ের সন্নিকটসহ নানা স্থানে নানাভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক সময় দুই শতাধিক পাহাড় ছিল। এসব পাহাড়ের কারণে চট্টগ্রামের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য অন্যরূপে ধরা দেয়। কিন্তু আশির দশকের শুরু থেকে পাহাড় কাটা শুরু হয়। গত চল্লিশ বছরে শহরের অনেক পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে ম্যানেজ করে শহরের বুকে অপরূপ সৌন্দর্যের পাহাড়গুলো কেটে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িঘর, মার্কেট। পাহাড় কেটে একাধিক আবাসিক এলাকাও গড়ে তোলা হয়েছে।
শহরে এখন আর বেশি পাহাড় অবশিষ্ট নেই উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরীতে সরকারিভাবেও কাটা হয়েছে পাহাড়। ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোডের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটেছে। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত আনা রাস্তাটি পাহাড়খেকোদের বেপরোয়া করে তুলেছে। রাস্তা নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় আশেপাশের পাহাড়গুলো হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিনই কাটা হচ্ছে পাহাড়। পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা।
আরেফিন নগরের মাঝের ঘোনায় তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা কমপ্লেঙের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু হজ্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি খাস জায়গা দখল এবং পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। জালালাবাদ এলাকায় নানা কৌশলে পাহাড় কাটা হচ্ছে। জিইসি মোড়ের সন্নিকটে কৌশলে দুটি পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। পাহাড় কাটা ও অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ চলছে বলে স্বীকার করে সরকারি পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে প্রচুর পাহাড় ছিল। অধিকাংশই কেটে ফেলা হয়েছে। এখন যেগুলো আছে সেখানেও কোপ পড়ছে। তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার আরেফিন নগরে পাহাড় কাটা হচ্ছে জানিয়ে কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু বলেন, আমি পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। মেয়র মহোদয়কেও বলেছি। এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটছে। আগে বেড়ার ঘর করে ভিতরে ভিতরে পাহাড় কাটছিলেন। এখন স্টিল স্ট্রাকচারের অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য পাহাড় কাটছেন।
অবশ্য ফখরুল ইসলাম পাহাড় কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কাউন্সিলর সাহেব কেন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বুঝতে পারছি না। আমি কোনো পাহাড় কাটছি না। আমার একটি কাঁচাঘর ছিল, সেটিকে পাকা করার উদ্যোগ নিয়েছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। এরমধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে ৫৩১ পরিবার ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪।
কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধুমাত্র নগরীর মতিঝর্ণা, টাংকির পাহাড়-বাটালি হিল-টাইগারপাস হয়ে এসব এলাকায় ১ লাখের উপরে লোক বসবাস করে।
গতকাল সরেজমিনে মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ঘেঁষে বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। আবার অনেকগুলো পাহাড়ের উঁচু-ঢালু জায়গায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৪-৫ তলা বিল্ডিং পর্যন্ত উঠে গেছে। একেকটি বিল্ডিংয়ে চরম ঝুঁকির নিয়ে ১০ থেকে ১৫ পরিবার বসবাস করছে। অনেকগুলো বিল্ডিংয়ের উপরে টিনের ছাউনি দিয়েও বাসা তৈরি করে ভাড়া দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা বলছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় এবং পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন না করাসহ সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী বাড়ছে।
অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, সিদ্ধাস্ত বাস্তবায়নে পাহাড় মালিকদের উদাসীনতা, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও রাজনৈতিক চাপের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নেওয়া ও পুনর্বাসনে সফলতা আসছে না।
গতকাল মতিঝর্ণার পাহাড়ি এলাকায় বস্তিতে বসবাসকারী রিকশচালক আবদুল মতিন ও ভ্যানচালক রফিকসহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা ভূমিহীন। তাদের যাওয়ার মতো স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেই। আর নগরীর সাধারণ বাসা ভাড়ার তুলনায় এখানে বাসা ভাড়া অনেক কম। তাই বাধ্য হয়ে ও জেনেশুনেই তারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন বিভিন্ন সময় তাদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি কখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
খবর নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ের মালিক সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উদাসীনতার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মহল পাহাড়গুলো দখল করে সেখানে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে ভাড়া দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম জানান, লালখান বাজার মতির্ঝণা পাহাড়টি মোট ২৬ একর। এরমধ্যে আমাদের রেলওয়ের ১৮ একর। অবশিষ্ট ৮ একর সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের। কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত। এখানে যুগ যুগ ধরে অবৈধ দখলদাররা বসবাস করে আসছে। অনেকে ৫-৬ তলা বিল্ডিংও করেছে। আমরা সরারাচর যেভাবে উচ্ছেদগুলো করি মতির্র্ঝণায় কিন্তু সেভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মতিঝর্ণা উচ্ছেদের জন্য আমরা এক সপ্তাহের কর্মসূচি নিয়েছিলাম। সবার সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডিও লেটার দিয়েছিলেন উচ্ছেদ না করার জন্য। স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারটি রেল ভবনে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। তখন মতিঝর্ণার ৫ হাজার অবৈধ বসবাসকারী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন উচ্ছেদ না করার জন্য। এখন আবার আমরা মতিঝর্ণাসহ আরো কিছু এলাকায় উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, নগরীর মতিঝর্ণা, টাংকির পাহাড়-বাটালি হিল-টাইগারপাস হয়ে এসব এলাকায় ১ লাখের উপরে লোক বসবাস করে। এখানে ২০ হাজার ভোটার আছে। শুধুমাত্র মতিঝর্ণা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছে এমন আড়াইশ পরিবার রয়েছে। এসব পাহাড়ে যারা বসবাস করছে তারা নিজেরা-নিজেরাই ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা বর্ষা এলে পাহাড় কেটে দেয়, যাতে মাটি নিচে পড়ে তার বাসবাসের এলাকাটি খোলামেলা-বড় হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এখানে যারা বসবাস করছে-অনেকেই বিল্ডিং করেছে, আসলে তাদেরকে এভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না। এরা ৮০ থেকে ৯০ বছর ধরে বসবাস করছে। পাহাড়ে বসবাসকারীদের অনেকেই ভূমিহীন-অসহায়। এরা যাবে কোথায়! এখানে ৮-১০ একর জমি আছে। পরিকল্পিতভাবে দুই একরের উপর যদি তাদেরকে বসবাসের ব্যবস্থা করা যেত-তাহলে অবশিষ্ট ৮ একর রক্ষা পেত। আমি অনেকবার বলেছি, পাহাড়গুলোর চারিদিকে যদি রিটেনিং ওয়াল করে দেয়া যায় তাহলে পাহাড়গুলো রক্ষা পেত। রিটেনিং ওয়াল দিয়ে পাহাড়গুলো সংরক্ষণ করা গেলে দখলমুক্ত করা সম্ভব হতো।
নগরীর আকবর শাহ থানাধীন রেল হাউজিং সোসাইটির উত্তর পশ্চিম অংশে একটি বিদ্যুতের খুঁটি মধুমাস জ্যৈষ্ঠকে মনে করিয়ে দেয়। এখানকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সরবরাহ লাইনের খুঁটিটি দেখলে মনে হবে একটি জ্যান্ত কাঁঠাল গাছ। যেটিতে কাঁঠাল ধরেছে মাটির সাথে লেপ্টে। মূলত সরকারি বেসরকারি পাহাড়ে গড়ে উঠা বৈধ অবৈধ বসতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেই পিডিবির এই আয়োজন।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে নিচু স্থানে মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পাশাপাশি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধভাবে পাহাড় দখলের সহযোগী হয়েছে পিডিবি। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ পর্যায়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে এসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে পিডিবির দাবি, বিদ্যুৎ চুরি রোধ করতেই একইস্থানে মিটারগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকার রেল হাউজিং সোসাইটির শেষ প্রান্তের পিডিবির একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য বিদ্যুৎ মিটার। ভূমি থেকে মাত্র দুই ফুট উঁচুতেও ঝুলে আছে মিটার। স্টিলের একটি বাঙে ৮টি মিটার থাকলেও অন্যগুলো আলাদা আলাদাভাবে উপর-নীচে ঝুলে আছে। প্রায় সবগুলোই প্রি-পেইড মিটার। এসব মিটার থেকে সংযোগগুলো চারিদিকের বিভিন্ন বসতিতে গিয়েছে। অগ্রণী হাউজিং সোসাইটির সাথে লাগোয়া উত্তর-পশ্চিম কোনায় আফসার স্টোরের সাথেই সিসি ঢালাই রাস্তার উপর খুঁটিটির অবস্থান। ওই খুঁটির আশেপাশের বসতিগুলোতে রয়েছে ছোট ছোট অনেক শিশু। এসব শিশুরা ওই সড়কেই খেলাধুলা করে।
স্থানীয়রা বলছেন, এখানে মিটারগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কেউ নিজেদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
আফসার স্টোরে চা-পানরত কয়েকজন বলেন, ‘এখানের বসতিগুলো প্রভাবশালীরা নির্মাণ করেছে। কম আয়ের মানুষজন ভাড়ায় থাকেন। মিটারগুলো কয়েকবছর থেকে এভাবে ঝুলে আছে। এখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে। দুই বছরের বাচ্চা শিশুও মাটি থেকে হাত দিয়ে মিটারগুলো ছুঁতে পারবে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
এসময় এক যুবক বলেন, ‘এসব মিটার আনতে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। ২০-২৫ হাজার টাকাও লেগেছে একেকটি মিটারে। একটি মিটার থেকে অসংখ্য বাসায় বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। এসব মিটার থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত বসতিগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক প্রভাবশালী অবৈধভাবে দখল করে, অনেকে লিজ নিয়ে পাহাড়ের নিচে বসতি তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ না থাকলে কেউ এসব বাসায় ভাড়ায় থাকবে না।’
পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার দেওয়ান সামিনা বানু বলেন, ‘বিদ্যুৎ চুরি রোধ করতে মিটারগুলোকে একই স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। ছোট বড় সবাই বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া দাবি রাখে।’
বিদ্যুৎ আইন না মেনে এভাবে সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত আকবরশাহর ওই এলাকাগুলোকে বস্তি ঘিঞ্জি এলাকা। চুরি রোধসহ ঝুঁকি এড়াতে এভাবে করা হয়েছে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী বলেন, ‘বিধি ও রুলস মাফিক হলে একবিংশ শতাব্দীতে একটি খুঁটিতে এতোগুলো মিটার সংযোগ দেওয়ার কথা নয়। এখানে অস্থায়ী কিংবা মেলার সংযোগ নয়। স্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে পিডিবি নিশ্চয়ই দুর্নীতির উদ্দেশ্যে এসব সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতার জন্য পিডিবিও দায়ী। কারণ পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। পাহাড়ে অবৈধ বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে যেমন ভূমিদস্যুরা যুক্ত আছেন। তেমনি আমাদের ওয়াসা ও পিডিবিও জড়িত। পিডিবি বিদ্যুৎ সংযোগ না দিলেতো পাহাড়ে অবৈধ বসতিগুলো অনেক কমে যেতো।’













