সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবার পাহাড় ও সমতলের সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বড় পরিসরে চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই উৎসবের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এবারের উৎসবে ৪ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব নববর্ষ এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব উদযাপন হচ্ছে। এসব উৎসবের মধ্যে রয়েছে বিজু, বিসু, সাংগ্রাই, বিহু, বাহা এবং ওয়ানগালাসহ পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর স্থানীয় উৎসব ও মেলা।
১২ এপ্রিল দেশের ১২টি অঞ্চলে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে সাধুমেলা। একই দিন শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের অংশগ্রহণে উদযাপিত হবে ফাগুয়া উৎসব।
১৩ ও ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নবপ্রাণ আন্দোলনের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ব্যান্ড শো।
নববর্ষের মূল দিন ১৪ এপ্রিল, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন, সকাল ৬টায় ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার আয়োজনে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে।
১৪ এপ্রিল, সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত হবে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, যেখানে বাঙালি সহ দেশের ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখি ব্যান্ড শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনশেষে, সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় চীনা কারিগরি দলের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর ড্রোন শো দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
এআরই/বাংলাধারা