বাংলাধারা প্রতিবেদক »
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, কে বা কারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত সেটা তদন্ত করে বলা যাবে। এ স্থানে এর আগেও আমরা অভিযান করেছি। কিন্তু কেউ সচেতন হয়নি। এখানে জনসচেতনতা খুবই জরুরি।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আকবারশাহ থানার বেলতলি ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধ্বংসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদফতর, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়াও নিহত পরিবারকে দাফন-কাপনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসনের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
পাহাড় ধসের এই ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদসরা হলেন— কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভূমি কাট্টলী, সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রের প্রতিনিধি, সিডিএ প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ওসি আকবর শাহ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি।
এর আগে শুক্রবার বিকালের দিকে আকবর শাহ মাজারস্থ বেলতলী ঘোনা এলাকায় একটি পাহাড় ধসে মো. খোকা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিন জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
