২৩ অক্টোবর ২০২৫

পাহাড়ে তিন দিনব্যাপী শুরু হলো প্রবারণা পূর্ণিমা

বান্দরবান প্রতিনিধি »

বান্দরবানে নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়েহ্ বা শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। তিন মাস বর্ষাব্রত শেষে আসে প্রবারণা পূর্ণিমা। এই দিনে বিহারগুলোতে থাকে বর্ণিল আয়োজন।

রবিবর (৯ অক্টোবর) প্রবারণা পূণির্মা উপলক্ষে সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা তাদের নিজ নিজ বিহারের সমবেত হয়ে ভগবানে উদ্দেশ্যে ফুল পূজা, কাঁচা ফল পূজা, পানীয় পূজা, মোমবাতি ও আগরবাতি পূজাসহ নিজ হাতের তৈরি পিঠা, ছোয়েং (আহার) দান ও শীল গ্রহণ করেন।

সন্ধ্যায় নর-নারী, দায়-দায়িকা, উপ-উপাসীকাবৃন্দ পুনরায় বিহারের সমবেত হয়ে আদিবাসীরা নিজেদের ঐতিহ্য পরিধান পোষাক করে পূণ্য লাভের আশা বিহারে নগদ অর্থ দান, মোমবাতিও হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করবেন।

এসময় নর-নারীরা সমবেত হয়ে ভান্তে কাছ থেকে প্রার্থনা গ্রহণ ও দেশের শান্তির জন্য মঙ্গল কামনা করবেন। ধর্মদেশনা শেষে ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে আকাশে নানা রংবেরং এর ফানুস বাতি। এছাড়া সন্ধ্যায় বিশাল আদলে ড্রাগনের তৈরি রথ তার ওপর একটি বুদ্ধ মূর্তি স্থাপন করে রথটি টেনে বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে।

তাছাড়া রাত্রে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন পাড়ার অলি-গলিতে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরির উৎসব আয়োজন করা হবে। ওই সময় পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা সারিবদ্ধভাবে বসে হরেক রকমের পিঠা তৈরি করে থাকে। পরদিন ভোরে নর-নারীরা সমবেত হয়ে ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে বিহারে ছোয়েং (পিঠা আহার) দান করে। কিছু পিঠা, পায়েশ আবার প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতেও বিতরণ করা হয়।

এদিকে, শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের ঐতিহ্য রাজার মাঠে ভগবান বুদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে ফানুস উড়িয়ে উৎসবটি শুভ সূচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মলম্বীদের প্রবার্রণা পূর্ণিমা।

আরও পড়ুন