জিয়াউল হক ইমন»
সাতকানিয়া উপজেলার ভোলা মহাজন বাড়ির দেবাশীষ দাস রায়। অসুস্থতাসহ পায়ে পচন ধরা অবস্থায় পড়ে ছিলেন রাস্তায়। ৪-৫ দিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকলেও খোঁজ নেয়নি কেউ। হঠাৎ সে নজরে আসে গাউছিয়া কমিটির। আর এ সংগঠনের লোকজন তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দেন চিকিৎসা।
জানা যায়, নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট খাজা রোডের চৌধুরী স্কুলের সামনের রাস্তায় পায়ে পচন নিয়েই পড়ে ছিলেন দেবাশীষ। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহযোগীরায় গাউছিয়া কমিটির কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক তাকে গোসল করিয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
গত সোমবার (২২ আগস্ট) তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
অসুস্থ দেবাশীষ রায় বলেন, ‘রাস্তায় অনেকদিন পড়ে থাকার পরেও সবাই দেখে না দেখার ভান করেছে। আমাকে এভাবে রাস্তা থেকে তুলে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমি গাউছিয়া কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ।’
গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের কর্মি এম জে মামুন বলেন, ‘প্রসঙ্গ যখন মানবতার সেবা তখন গাউছিয়া কমিটি সর্বদা এগিয়ে। সকালে হঠাৎ চোখে পড়ে উনি নর্দমার পাশে খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। তখন চান্দগাঁও থানার ওসিকে বিষয়টি জানালাম। উনি সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছে আমাদের সহযোগীতার জন্য। পরে আমাদের টিমের গাড়ি এনে ওনাকে মেডিকেল ভর্তি করাই।’
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এসআই মোস্তফা বলেন, ‘আজ রাস্তা থেকে এই রোগীকে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের ভাইয়েরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোগীর অনেক ভিড় ছিল। পড়ে আমরা সহযোগীতা করে টিকেটের ব্যবস্থা করি, ডাক্তার দেখাই।’
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক,ও মানবিক সেবা কর্মসূচির সহ-সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ বলেন, ‘তিনি রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। লোকটির পায়ের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। অনেক লোকই দেখেছে। কিন্তু সবাই দেখেও এড়িয়ে চলে গেছে। কিন্তু যখন আমাদের নজরে আসলো আমরা আমাদের অফিস থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গোসল করিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই।’
তিনি বলেন, ‘এরকম অনেক অজ্ঞাত রোগীকে সেবা দিয়েছি। মেডিকেল ভর্তি করিয়ে সেবা দিয়ে তাদের সুস্থ করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছি। দেবাশীষকেও সাহায্য করে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করব।’
বাংলাধারা/আরএইচআর













