বাংলাধারা ডেস্ক»
পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার আগে যাতে ফাঁসি কার্যকর না করা হয়, সে বিষয়ে আইজি প্রিজনসের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে কথা বলতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ কথা বলেন।
২০০৪ সালে কুষ্টিয়ায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আপিল চলতি বছরের ১৮ আগস্ট শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। বাকিরা হলেন—নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন।
আদালত তাদের কমডেম সেল থেকে নরমাল সেলে স্থানান্তর করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডে রায় চ্যালেঞ্জ করে পৃথক আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আপিল বিভাগে এই আদেশ দিয়েছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলীর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি তার আবেদন খারিজ হয়, তাহলে কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে ফেরার সময় শুকুর আলী, নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন ১৩ বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ করে তামাক খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পরে হত্যা করেন। পরের দিন তার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন।
আসামি পাঁচজন হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।
গত বুধবার রায়ে আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
অন্য তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। এছাড়া তাদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
বাংলাধারা/এফএস/এফএস













