কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পৃথিবীতে কোন ধর্মই অমঙ্গলের কথা বলেনা। ধর্ম- মেলবন্ধন, মানবকল্যান ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের কথা বলে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ভাঙতে কোন ধর্মই বলেনা। সুতরাং মাঝেমধ্যে কিছু কুচক্রী মহল ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে, করবে। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে সজাগ থেকে কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
রবিবার (২৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রামুর চেরাঘাটাস্থ বাকঁখালী নদীতে আয়োজিত কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসবে বক্তারা বলেন, রামুর এ কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সবাইকে অভিভূত করে। মুসলিম, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি রামুতে শত বছরে সম্প্রীতির প্রমাণ মিলে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও জাহাজ ভাসা উৎসব উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অর্পণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিৎময় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্টান শুরু হয়।
বাঁশ, বেত, কাঠ রঙিন কাগজ দিয়ে শৈল্পিক কারুকার্যে তৈরি বৌদ্ধমন্দিরের আবেশ ফুটিয়ে তোলা আটটি কল্পজাহাজ ভাসানো হয় এবার। নৌকাকে বাশেঁর সাথে রশি দিয়ে বেঁধে ভেলা বানিয়ে বাঁকখালী নদীতে ভাসানো হয় এসব কল্পজাহাজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি তপন মল্লিক, এমইউপি সদস্য বিপুল বড়ুয়া আব্বু, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিকবৃন্দ।
এতে আশীর্বাদক হিসেবে ছিলেন, শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ. ছেকাচারা মহাথের।
কল্পজাহাজ ভাসা দেখতে নদীর দুপাড়ে উৎসুখ জনতা ভীড় জমায়। এতে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা আনন্দ উপভোগ করেন।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কল্পজাহাজ ভাসা শেষে বৌদ্ধধর্মীয় নেতারা সাআ-দু, সাআ-দু ধ্বনিতে উৎসব মূখর পরিবেশে ফানুস উড়িয়ে দেন। রাতে বৌদ্ধ কীর্তন মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
				












