বাংলাধারা প্রতিবেদন »
পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন পেঁয়াজের বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম।বাজারে এই পণ্যটির কমতি নেই।সকালে এক দাম-বিকেলে সেটা বেড়ে হচ্ছে আরেক দাম।দিনে দিনে পেঁয়াজ সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। চাইলেই চাহিদা অনুযায়ী কেনা যাচ্ছে। কিন্তু বেড়েই চলছে দাম।দাম নিয়ন্ত্রণে ছুটির দিনে অভিযান চালিয়েও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কবে কমবে তাও জানা নেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমকর্তাদের।
খুচরা বাজারে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ২৪০ থেকে আড়াইশো টাকায়।মায়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ টাকা। মিশরের ১৯০ টাকা। আবার পঁচা পেঁয়াজ কিনতে কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা।যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে চরম ক্ষুব্ধ অসহায় তারা।বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ব্যর্থতাও দেখছেন অনেকে।সরকারের পাশাপাশি পাইকারি ব্যবসায়ীদের দুষছেন সাধারণ মানুষ।তারা বলছেন,অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় গত চার মাস ধরে ইচ্ছে মতো পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন।
ক্রেতারা বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই। যদি থাকতে তাহলে কারও গোডাউনে পেঁয়াজ থাকত না। দামও তো বেশি হতো না।
আড়তদাররা বলছেন, তাদের কাছে পেঁয়াজের মজুদ নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আনা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা। যা বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে চড়া দামে। মায়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আসছে তার সিংহভাগই পঁচে যাওয়া।সরবরাহ না বাড়লে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। বর্তমানে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশী পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় যোগান আসে ফরিদপুর থেকে, সেখানেও বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছেন বলে জানান তারা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম এবং পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেশি।সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমে যাবে।
এদিকে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল বাংলাদেশ। ফলে দেশের বাজারে বিশ-পঁচিশ টাকা কেজির পেঁয়াজ ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













