বাংলাধারা প্রতিবেদন »
লাগামহীন ঘোড়ার মতোই ছুটছে পেঁয়াজের দাম। কোনো কিছুতেই সেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার। দাম বৃদ্ধিতে বিশ্ব রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরিতে পেঁয়াজ। গত চার মাসে প্রায় ২৫ বার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
এদিকে নগরীর খাতুনগঞ্জসহ আশপাশের ওলাকায় পেঁয়াজের বাজার মনিটরিংয়ে নামবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট। আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি), আগ্রাবাদ সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুস সামাদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী নেতৃত্ব দেয়া কথা রয়েছে।
গত বুধবারের (১৪ নভেম্বর) ১৭০ টাকা দেশি পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বেড়ে ঠেকল কেজিতে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্যমতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি।
এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর ছাড়াও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে আকাশপথেও। তাও শুধু শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই হয়েছে। গত দেড় মাসে উড়োজাহাজে ১৬,৩৭৯ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা পরিমাণে খুবই কম। তবে এ আকাশ পথে যা আমদানি করা হয়েছে তা শুধু হাতেগুণা কিছু অভিজাত রেস্তোরাঁ, সুপারশপ ও পাঁচ তারকা হোটেলে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, বিমানে করে থাইল্যান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবদানি করা হয়েছে। প্রতি চালানে সর্বনিম্ন ২০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ৭০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানির তথ্য রয়েছে। মোট ছয়টি দেশ থেকে এ আকাশ পথে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভেনিয়া থেকেও আমদানি হয়েছে। এ আকাশ পথে যে পেঁয়াজ আনা হয় সেসব পেঁয়াজ সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, রান্নার কাজে ব্যবহার হয় না। তাই অভিজাত হোটেলগুলোর চাহিদা পরিমাণ পেঁয়াজ আনা হয় এ আকাশ পথে।
আমদানিকারকদের সূত্রে জানা যায়, আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য পরিবহনে দূরত্বভেদে ভাড়া বেশি দিতে হয়। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করলে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা খরচ হবে। বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের যা দাম তাতে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়তে পারে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা।
এবার সরকার সাধারণ মানুষের জন্যও আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পণ্য পরিবহনকারী উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে পণ্যবাহী উড়োজাহাজের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করবে। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













