৩০ অক্টোবর ২০২৫

পেঁয়াজের বিকল্প চিভ

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

রফতানি ভারত থেকে বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে বেড়েই চলছে রান্নার অন্যতম উপকরণ পেঁয়াজের দাম। ইতোমধ্যে কয়েকগুন বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে এই উপকরণটি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। পেঁয়াজের এমন  দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

এমন অবস্থায় পেঁয়াজের বিকল্প খুঁজছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা।এর বিকল্প হিসেবে ‘চিভ’ নামে এক মশলার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। যা পেঁয়াজের অভাব দূর করবে বলে  মনে করেন তারা। তাদের ভাষ্য, চিভ সারা বছর চাষ করা যায়। একবার রোপন করলে সারা বছর ফল যাওয়া যায়।

এ নিয়ে গবেষণা চলছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে। গবেষণা সংস্থাটির  ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নূর আলম চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজ রসুনের মতো চিভের স্বাদ।পৃথিবীর অনেক দেশে সাধারণত স্যুপ, সালাদ ও চাইনিজ ডিসে ব্যবহৃত হয় এটি। এর পাতা লিলিয়ান আকৃতির ফ্ল্যাট, কিনারা মসৃণ এবং  এর ভালভ লম্বা আকৃতির হয়।  হজমে সাহায্য ও রোগ নিয়ন্ত্রণ করে চিভ। এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, বি-২, নায়াসিন, ক্যারোটিন ও খনিজ উপাদান বিদ্যমান। চিভের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণও বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি জানান,সাধারণত দেশের পাহাড়ি এলাকা সিলেট ও চট্টগ্রামে চাষ হয়ে থাকে চিভ। এছাড়াও দেশের যেসব এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় সেসব এলাকায়ও চীভ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।  ২০১৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট  চিভ-১ অবমুক্ত করে। এখন চাষ সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশে বছরে ১৭ লাখ মেট্রিকটনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়।  আরও ৫ লাখ মেট্রিকটন ঘাটতি রয়েছে। এখন চিভ  সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে কৃষি বিজ্ঞানী।

ড. মো. নূর আলম চৌধুরী জানান,‘চিভ গাছ রোপনের ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। এর পাতা, কাণ্ড ও কাঁচা ফুল মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একবার পাতা-কাণ্ড কেটে নিলে আবার গজায়। বাড়ির আঙিনায় বা টবেও চাষ করা যায়। চীন, সাইবেরিয়া ও মঙ্গোলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই মশলার চাষ হয় বলে জানান তিনি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন