কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে ১৫টি বসতঘর। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা। হতাহত না হলেও আগুনে রক্ষা পায়নি গৃহপালিত হাঁস-মুরগীও। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনা মুজিবকিল্লা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহ্ণলা চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুতাহের, বারবাকিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুল করিম।
স্থানীয় ইউপির নারী সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, গভীর রাতে মুজিবকিল্লায় খোরশেদা বেগমের বসতবাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে বলে জেনেছি। এসময় আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ইব্রাহিম, নুরুল আবছার, নুরুল হোসেন, শাহিন, বদিউল আলম, হুমায়ন, হানু আক্তার, দেলোয়ার, কবির আহমদ, রেজিয়া বেগম, তৌহিদ, জাফর আলম, সোহেল ও রহিমা বেগমের বাড়ি সম্পুর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ১৫ বস্তা চাউল সহায়তা করেছেন বলে জানান। এছাড়া সালাহ উদ্দিন নামের এক সৌদি প্রবাসি তাদের নগদ অর্থ সহায়তাও করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙারী ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ভোররাতে পাশের বাড়িতে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আমাদের শেষ করে দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাৎক্ষনিক না আসলে অন্তত আরো ১৫টি বাড়ি আগুনের থাবা থেকে রক্ষা পেতনা।এখন আমরা খোলা আকাশের নিচে বাস করছি।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স পেকুয়া স্টেশন ইনচার্জ শফিউল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। চুলার আগুন থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহ্ণলা চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।













