পদ্মা বহুমুখী সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ বৃহৎ ১০টি প্রকল্পের কাজ এবং বাংলাদেশ সরকারের নানা উন্নয়নমূখী কর্মকান্ড তুলে ধরতে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের উদ্যোগে ও ২৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আংশগ্রহণে শেষ হয় মেগা প্রজেক্ট পোস্টার প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ২৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই পোস্টার প্রদর্শনীতে আংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপনা ও কোর্সের বিষয় শিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক প্রশান্ত কুমার শীল। সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স কোর্সের অধীনে উক্ত পোস্টার প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ছাড়াও ভবিষ্যতে আর কি কি ধরনের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা উচিত তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক প্রশান্ত কুমার শীল বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য খুব গৌরবের। এ মাসেই ৪ টি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণা দক্ষতা ও সৃজনশীল কাজে আরো উৎসাহিত করবে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল পোস্টার তৈরি ও দুর্দান্ত উপস্থাপনায় আমি বেশ মুগ্ধ।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মোঃ সোহেল বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্ট পোস্টার প্রদর্শনীতে আমাদের দেশের ১০ টি মেগা প্রজেক্ট উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই প্রকল্পগুলি কেবল অবকাঠামো নয়, আমাদের দেশের সমৃদ্ধি ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার একটি প্রমাণ।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাবরিন বলেন, এই সকল মেগা প্রোজেক্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভবনা। বর্তমান সরকার বেশ অনেকগুলো মেগা প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করেছেন। তার মধ্যে হচ্ছে পদ্মা ব্রীজ। যেটা বাংলাদেশের অর্থনীতির এক নতুন সম্ভবনা। পদ্মাসেতু মোট ১৯টি জেলাকে একত্রিত করেছে। যা দক্ষিণ অঞ্চল এবং পশ্চিম অঞ্চলের পর্যটক খাত, কৃষিখাতে এক নতুন সম্ভবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী পূজা দেব বলেন, মেগা প্রজেক্ট বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একটি সফল উদ্যোগ। ঢাকা মেট্রোরেল মেগা প্রোজেক্ট যার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। ব্যস্ততম ঢাকাবাসির জন্য একটি আশীর্বাদসরূপ।
নুজহাত জাহান নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, সরকারের অনেকগুলো মেগা প্রোজেক্টের মধ্যে কুর্নফুলী টানেল একটি। কর্ণফুলী টানেলের কারণে ঢাকা থেকে কক্সবাজারমুখী মানুষের জন্য সময় স্বল্পতা আরো এক ঘন্টা কমে এসেছে।
বিষ্টি আক্তার নামের অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অনেকগুলো মেগা প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করেছেন। যার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লিংক অন্যতম। এ প্রজেক্টের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারবাসি ব্যাপক উপকৃত হবে।
এধরণের আয়োজন ও পোস্টার প্রদর্শনী করায় সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগের সভাপতি জুয়েল দাশ সকলের উদ্দেশ্যে আন্তরিকতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।
 
				












