১০ নভেম্বর ২০২৫

‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিকে ধরা মিরসরাইয়ের চাকরিপ্রার্থী

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

মো. নিজাম উদ্দিন। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষাই অংশই নেননি তিনি। লিখিত পরীক্ষায় উক্তীর্ণ হতে লাখ টাকা ভাড়ায় খাটান অন্য একজনকে। লিখিততে পার পেলেও মৌখিকে গিয়ে হাতের লেখা দেখে সন্দেহ হয় পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যদের। শেষমেষ ধরা পরে জালিয়াতির কথা স্বীকারও করেন তিনি। তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদের মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়েন নিজাম উদ্দিন।

তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তারাকাটিয়া গ্রামের ওবাইদুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে এবং তাকে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীনে চার ক্যাটাগরিতে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন নিজাম উদ্দিন। এসময় নিজাম উদ্দিনের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের ওএমআর এর লেখা ও তার হাতের লেখা দেখে পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে পরীক্ষা বোর্ডের সদস্যরা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনোটির উত্তর দিতে পারেননি।

আরও জানা যায়, নিজাম উদ্দিনের হাজিরা শিটের সই ও মৌখিক পরীক্ষার সময় দেওয়া হাজিরা শিটের সইয়ে অমিল পাওয়া যায়। একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন স্বীকার করেন- লিখিত পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ নেননি। তার পরিবর্তে মিরসরাই বাজারে নিকটস্থ লিটন চন্দ্র দাসের মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য ব্যক্তি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শনিবার তিনি মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসেন বলে স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন