বাংলাধারা ডেস্ক »
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১২টায় প্রচার-প্রচারণা শেষ করেন প্রার্থীরা। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ভোটার আকর্ষণে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী; ভোট গ্রহণের ৩২ ঘন্টা আগে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ করতে হয়।
আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এবারেই প্রথমবার দুই সিটির সব বুথে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৮টি,আর ভোটকক্ষ থাকছে ৭ হাজার ৮৫০টি। ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৯ হাজার। দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০ ভোটকেন্দ্রে থাকবে ৬ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষ। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫২ হাজার।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মিলে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক সদস্য নির্বাচনের মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনী অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে রয়েছেন ১২৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট।প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি ।
রাজধানীতে টানা ৫৪ ঘন্টা মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।রোববার সকাল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এছাড়া মোটরযান চলাচলে ১৮ ঘন্টার জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এটি শুক্রবার(৩১ জানুয়ারি) গত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকাসমূহে কার্যকর হবে।
তবে,নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এবারের নির্বাচনে দুই সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বদিন্দ্বতা করছেন ১৩ জন। ঢাকা উত্তর সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১৮টি পদে ৭৭ জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন। দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩৩৫ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













