বাংলাধারা প্রতিবেদন »
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্চারীরা প্রতিদিন বাড়তি গাড়ি ভাড়া দিয়ে, কর্ণফুলী পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে আসছেন। দেশি-বিদেশি নাবিক, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চালক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বার্থ অপারেটর শ্রমিকসহ হাজারো মানুষ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রণোদনার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ। সদস্য উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, প্রধান নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক, সিবিএ সভাপতি মো. আবুল মনছুর আহম্মদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক।
এদিকে, প্রণোদনার কমিটি গঠনে বন্দরের কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হয়েছে।
কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, পুলিশ, চিকিৎসকসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের করোনাকালে কী কী প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে সেগুলো আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। বন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিতদের জন্য প্রধানত ২ মাসের বেসিক বেতন প্রণোদনা হিসেবে চাওয়া হতে পারে। এরপর মন্ত্রণালয় কাটছাঁট করে যতটুকু দেয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













