প্রতিবন্ধীরাও এ সমাজেরই অংশ। তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের মূল স্রোতে তাদের সম্পৃক্ত করতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাদের কর্মে নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এরই সফলতা ’মুক্তা পানি’ উৎপাদন কার্যক্রম। এ পানি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হচ্ছে।
প্রতিবন্ধীদের মাধ্যমে উৎপাদিত ‘মুক্তা পানি’কে জনপ্রিয় করে তুলতে কক্সবাজারে মুক্তা পানির প্রমোশনাল কার্যক্রম রোড শো এবং আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরে বর্ণাঢ্য রোড- শো পরবর্তী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে শহিদ এটিএম জাফর আলম সিএসসি সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হাসান মাহমুদ ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন, যথাযথ প্রচারের ব্যবস্থা করা গেলে বিশুদ্ধ মুক্তা পানিকে ক্রেতাদের মাঝে আরো জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। বিশুদ্ধতার মাত্রায় মুক্তা পানি দেশে উৎপাদিত যেকোন পানির ব্রান্ড থেকে উৎকৃষ্ট। এ পানির বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জিত আয় দিয়ে প্রতিবন্ধীদের অধিকতর কল্যাণমূলক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং এভাবে প্রতিবন্ধীদের সম্মানের সঙ্গে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়া সম্ভব।
সভায় শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প কারখানা ব্যবস্থাপক মো. মহসিন আলী বলেন, প্রতিবন্ধীদের হাতে তৈরি মুক্তা পানি মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়েও দেশের মানুষের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, অংশীজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, মৈত্রী শিল্পের প্রতিবন্ধী কর্মী ও বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘মুক্তা পানি’ মিনারেল ওয়াটার দেশের প্রতিবন্ধীরা তৈরি করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হওয়া এ পানির কারখানা গাজীপুরে। এ কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা চলে। এখান থেকে যে লাভ হয় তার পুরো অংশই প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।













