‘অন্য রোগের মতো দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিভাগীয় শহরগুলো ছাড়া হাতের কাছাকাছি এ রোগের চিকিৎসা করাতে পারেন না আক্রান্তরা। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ সঠিক সময়ে নিয়মিত ডায়ালায়সিস করাতে ব্যর্থ হয়ে জীবনসংকটে পড়ছেন। আধুনিক যুগ হিসেবে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। সে হিসেবে জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে অন্য রোগের চিকিৎসার মতো কিডনি রোগের চিকিৎসাও সহজলভ্য করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সেই প্রচেষ্টাকে বেগবান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারিরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে একত্রিত হয়েছে।’
বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের (বিআরএ) উদ্যোগে ১৭তম সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের উদ্বোধনীতে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ‘সায়েন্টিফিক কনফারেন্স এন্ড ইন্টারন্যাশন সিএমই অব বিআরএ (বিআরএ সিওএন ২০২৩) এন্ড এসএআরবিএম’ শুক্রবার রাত ৮টায় কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী ‘সী-পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা’র সাফিনা বলরুমে উদ্বোধন হয়েছে।
কনফারেন্সের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রিউলজির সভাপতি অধ্যাপক ডা. নারায়ণ প্রসাদ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রিউলজির সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের (বিআরএ) মহাসচিব এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিস এন্ড ইউরোলজির ডাইরেক্টর প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ বাবরুল আলম।
সমাপনী বক্তব্য দেন বিআরএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিআরএ’র সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. কাজী শাহনুর আলম।
উক্ত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সার্কভুক্ত দেশ সমূহের খ্যাতনামা কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কক্সবাজারে আগমন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি প্রায় চার শতাধিক কিডনি রোগ চিকিৎসক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক এবং এটি ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি কর্তৃক স্বীকৃত বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ।













