৯ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রশাসকের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালো ‘বিপ্লব উদ্যান’র দোকান মালিকরা

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চসিক প্রশাসকের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরীর বিপ্লব উদ্যানের দোকানগুলো ফের খোলা রেখেছে দোকানিরা। গতকাল (২৫ আগস্ট) বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে নির্মিত দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে চুক্তি লঙ্ঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধের নির্দেশ দিলেও দোকান মালিকরা এই নির্দেশ অমান্য করে আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে আবারও দোকান খোলা হয়েছে।

প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই খোরশেদ আলম সুজনকে দেখা যায় অনেকটাই মাঠে তৎপর। কখোনো সড়ক সংস্কারে, কখনো তেল চুরি বন্ধে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।সেই ধারাবাহিকতায় তিনি গতকাল মঙ্গলবার ছুটে গিয়েছিলেন চসিকের সৌন্দর্যবর্ধনকৃত বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শনে।

উদ্যান পরিদর্শন ও গণশুনানীকালে প্রশাসক সুজন বলেছিলেন, চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে নির্মিত দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলা হবে। একইসাথে চুক্তি লঙ্ঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সব দোকান বন্ধ থাকবে।

কিন্তু গতকালে দেয়া তার কড়া নির্দেশ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আজ সকালে দোকানগুলো খোলা রেখেছে দোকান মালিকরা।

মঙ্গলবার পরিদর্শনকালে প্রশাসক প্রত্যক্ষ করেন যে, চুক্তিতে ১৫০বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২‘শ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। যা অকপটে স্বীকার করে দোকান মালিকরা।

দেখা গেছে, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান করা হয়েছে। এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চসিক প্রশাসক।

তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে শুধু বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেয়া যায় না। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে, যা চসিকের সাথে সম্পুর্ণরূপে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়। বর্তমানে পার্কটিতে কোন প্রকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নেই।

প্রশাসক জানান, চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। উভয় পক্ষ যতক্ষণ সিদ্ধান্তে উপণীত হতে না পারবেন ততদিন এই অবৈধ দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চসিকের সকল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হবে নগরবাসীর স্বার্থে। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। কেউ যদি নগরবাসীর স্বার্থের বিপরীত কর্ম সম্পাদনে লিপ্ত হয় তাদের আজকের এই কর্মসূচী থেকে সাবধান হওয়া উচিত।

কিন্তু এখন দেখার বিষয় চসিক প্রশাসক দোকান মালিকদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ