রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছেন। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে (২১ জুলাই) এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চিৎকার করতে করতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৬০ জন রোগী সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক”।
আহতদের মধ্যে চারজনকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া নিকটবর্তী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।
এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিমান বাহিনী দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা। তার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সারাদেশে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।
শোক দিবসে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একই সঙ্গে দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিহত ও আহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
দুর্ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে।
বিস্তারিত আসছে……
বাংলাধারা/এফইএমএফ