বাংলাধারা প্রতিবেদন »
‘করোনা, তুমি আমার কলিজায় কামড় বসিয়েছো! প্রসববেদনার চাইতেও কষ্ট বেশি মনোবেদনা।’ মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এমনিভাবে মনোবেদনার কথা ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রকাশ করেছেন করোনা আক্রান্ত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক সামিয়া নাজনীনের মা রেহেনা চৌধুরী।
মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি মঙ্গলবার (১২) বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক একাউন্টে এই বেদনাদাক স্ট্যাটাস দেন।
সোমবার (১১ মে) বিআইটিআইডি ল্যাবের রিপোর্টে ২৯ বছর বয়সী চিকিৎসক সামিয়া নাজনীনের করোনা পজিটিভ আসে। তিনি চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে।
জানা যায়, কিছুদিন আগে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ১০ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। একদিন পরেই সোমবার (১১ মে) রাতে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকেই করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক সামিয়া নাজনীনের শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
ডাক্তার সামিয়া নাজনীনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মা ও শিশু হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিল সামিয়া নাজনীন। সেখানে সপ্তাহে দুই তিন দিন করে ডিউটি ছিল। কিভাবে সে এ ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে তা জানি না। তবে তার শারিরীক অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। সে বাসায় আইসোলেশনে আছে।
সামিয়া নাজনীনের বাবা সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী জানান, করোনার উপসর্গ দেখার পরপরই আমার মেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যায়। এখন শ্বশুরবাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছে। শরীরের অবস্থা আছে একরকম। জ্বর আসে মাঝেমাঝে। সে তো নিজেই ডাক্তার তাই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
রোগীর সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার মেয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রেহেনা চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে লিখেন, ‘পেশায় চিকিৎসক আমার এক পরম আত্মীয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত। ফুলের মতো ফুটফুটে এক শিশু সন্তানের জননীটির জন্য সকলের নিকট দোয়ার আরজ।’
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
