চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আগামীকাল (১৪ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে একক প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। দীর্ঘ নয় বছর পর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। অতিথি, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ পুরো আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ২৬ হাজার মানুষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতারের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে প্রধান অতিথি থাকবেন নোবেল বিজয়ী ও চবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে দেওয়া হবে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি। বক্তব্য দেবেন ইউজিসি চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সমাবর্তনের সময়সূচি ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্দেশনা
দুপুর ১:৩০: অতিথিদের আসন গ্রহণ, ১:৪৫: সমাবর্তন শোভাযাত্রা, ২:০০: জাতীয় সংগীত, ২:০৫: ধর্মগ্রন্থ পাঠ, ২:১৫: উদ্বোধনী বক্তব্য ,২:২০: ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান ,২:৩০: ডিগ্রি প্রদান শুরু, ৩:০০ – ৩:৪০: অতিথিদের বক্তব্য ও সম্মাননা প্রদান, ৪:০০: জাতীয় সংগীত ও সমাপ্তি
সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে বিভাগীয় বুথ থেকে খাবার, ব্যাগ, স্মরণিকা, কলম, পিন ও মোবাইল ওয়ালেট সংগ্রহ করতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে গাউন ফেরত দিয়ে সনদ ও উপহার সামগ্রী গ্রহণ করা যাবে।
দুপুর ১টার পর কাউকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অতিথি ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না।
সমাবর্তন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চলবে ১০০টি বিশেষ বাস এবং ৪টি বিশেষ শাটল ট্রেন। ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্য থাকবে শাটল বাস সার্ভিস। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
তাপদাহে স্বস্তির আয়োজন
প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি দিতে থাকবে ১২০টি এয়ার কুলার, ২০০ টনের শীতলীকরণ ব্যবস্থা ও ১১০০টি সিলিং ফ্যান। মূল মঞ্চে এসির ব্যবস্থা থাকলেও পুরো প্যান্ডেলে তা সম্ভব হয়নি খরচ ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে।
সমাবর্তনের প্রাক্কালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ি (ই-কার)। সফল হলে আগামী জুন থেকে ২০টি ই-কার দিয়ে পুরোপুরি যাত্রীসেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সরাসরি সম্প্রচার ও সজ্জা
১৩ কোটি টাকার এ আয়োজনের অর্ধেকের বেশি এসেছে নিবন্ধন ফি থেকে। বাকি অর্থ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার ছাড়াও ক্যাম্পাসের পাঁচটি স্থানে থাকবে বড় এলইডি স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে রঙিন সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
সমাবর্তন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, “এটাই দেশের ইতিহাসে একক বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। আমরা শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অনুষ্ঠান সফল করতে প্রস্তুত।”
এআরই/বাংলাধারা