শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেছেন, “বাংলাদেশে আরও একটি বিপ্লব সংঘটিত হবে, তাহলো ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। যে বিপ্লবের মাধ্যমে সব ধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটবে।”
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে দাঁতমারা মাদ্রাসার মাঠে ভূজপুর থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূজপুর থানা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি মো. আবু তাহেরের সঞ্চালনায় ভূজপুর থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার।
মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর, চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। বিগত সরকারের আমলে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়েছে, এখন আরও চাঁদাবাজির নতুন নতুন ক্ষেত্র বেড়েছে। এই চাঁদাবাজদের ধরে আইনের আওতায় তুলে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াল জুলুম নির্যাতনের পর আমরা একটি দেশ পেয়েছি। শেখ হাসিনার রেজিমের পতন হয়েছে। বাংলাদেশে এরকম অত্যাচারী রেজিম গড়ে উঠতে দেব না। আমরা কষ্টে ছিলাম, কিন্তু আইন হাতে তুলে নিইনি। আমাদের ইসলাম এবং দল ধৈর্য ধারণ করা শিখিয়েছে।’
আব্দুল জব্বার বলেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যদি সতর্ক থাকি, তাহলে যতই ষড়যন্ত্র করুক, আমরা সফল হব। যারা শহীদ বা আহত হয়েছেন, তারা আমাদের আত্মার আত্মীয়।’
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি ফজলুল করিম, চকবাজার থানা আমির মো. খালেদুর রহমান, ফটিকছড়ি থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুপ বিন সিরাজ, লিম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান ও রাঙ্গামাটি জেলা শিবিরের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাফি প্রমুখ।













