বাংলাধারা প্রতিবেদন :::
ফটিকছড়ির দাঁতমারার বালুটিলা বাজারের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকার প্রবাসীদের বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে একটি পক্ষ। মূলত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আড়াল করতেই প্রবাসীদের টার্গেট করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত নয়টার দিকে জয়নাল আবেদীন এবং ইউসুপ মেম্বারের নেতৃত্বে ফুলছড়ি বালুটিলা বাজারে প্রবাসী শামীম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এর আগে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি বাহরাইন থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির গৃহিণী হাসনে আরা নিপা জানান, রাতে একদল লোক হঠাৎ বাড়িতে আসে। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ ছিলো না। মহিলাদের ঘরে থেকে বের করে দিয়ে ঘরের আলমারি খুলে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় তারা। এরপর কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা আরো জানান , ফুলছড়ি বালুটিয়া বাজারের মুরগি দোকানদার রফিকুল ইসলামের দোকান লুট করা হয়েছে রবিবার রাত আটটার দিকে। আনোয়ারা হোসেন নামের আরেক ফার্মেসি দোকানদারের দোকান লুট করা হয়েছে একই সময়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে প্রবাসীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও মিলছে না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউসুফ আলীর মেম্বার ও দাঁতমারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আকতার হোসেনের রাজনৈতিক দ্বন্দ সহিংসতায় রূপ নেয়। বেশ কয়েকদফা হামলা পাল্টা হামলার ঘটনার পর ২৫ শে মার্চ রাতে মাসুদ (৩৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাহত করে হত্যা করা হয়। শনিবার রাতে তারাবির নামাজের পর দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা এলাকায় দুই পক্ষের বাগবিতন্ডার জেরে মাসুদকে ছুরিকাঘাত করা হলেও এই ঘটনার পর থেকে বিদেশ থেকে ঈদ করতে আসা বিভিন্ন প্রবাসীর বাড়িকে টার্গেট করা হয়েছে। নিহত মাসুদ দাঁতমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর বালুটিলা ওয়ার্ডের সাইদুর রহমানে ছেলে। নিহত মাসুদ স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলীর অনুসারী বলে জানা গেছে।
দাঁতমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজের আহমেদ বলেন, ‘ একজন প্রবাসীর ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। ‘
