২৩ অক্টোবর ২০২৫

ফটিকছড়িতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সরকারি জায়গা দখল-বেদখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের হেঁয়াকো বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষ চলাকালে বারৈয়ারহাট–রামগড়–খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে দেড় ঘণ্টার অধিক সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মো. বাবুল, আব্দুল মালেক অনু ও মো. শরিফ। তারা স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেঁয়াকো বাজারে সরকারি জায়গা দখল-বেদখল নিয়ে মানববন্ধন করে ভূজপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল আমীন গ্রুপ। এ সময় সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নুরুল আমীন ও সাবেক জেলা যুবদল নেতা নাছির উদ্দিন বিপ্লব গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন এবং ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ভূজপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল আমীন বলেন, “দাঁতমারা এলাকায় দলীয় নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তা বরদাশত করা হবে না। আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, “এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত নই। ২০০৮ সালের পর প্রায় ১৭ বছর আমাকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সে সময় আমার বসতঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাধ্য হয়ে আমি ও আমার পরিবার এলাকা ছেড়ে গেলে পৈতৃক সম্পত্তির অনেকাংশ দখল করে নেওয়া হয়। এখন জায়গা উদ্ধারে গেলে আমার নামে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করছে।”

ভূজপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল আলম বলেন, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই দুই পক্ষের বিরাজমান পরিস্থিতি শান্ত হবে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে আলাপ করা হবে।”

আরও পড়ুন